অথ জিগোলো কথা
পিনাকী চৌধুরী :-‘ যৌনতা ‘ এই আপাত নিরীহ শব্দটি কিন্তু গভীর অর্থবহ। আর আমরা বোধহয় সেই কামকে কেউই অস্বীকার করতে পারিনা। আমাদের সমাজে পতিতাদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই ! কিন্তু ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, এই একবিংশ শতাব্দীর চরম ব্যস্ততার যুগে এসে পুরুষ যৌনকর্মীদের বা জিগোলোদের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। চমকে উঠলেন ? হ্যাঁ এটাই এখন পুরোদস্তুর বাস্তব!
ভারতে এখন সেইসব জিগোলোদের একটি নিজস্ব ব্লগ রয়েছে, যেখানে বহু উচ্চশিক্ষিত, স্মার্ট, ঝকঝকে তরুণ রীতিমতো রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেহ ব্যবসায় নামেন। এছাড়াও LinkedIn সহ একাধিক সোশ্যাল সাইটেও এইসব জিগোলো দের প্রোফাইল রয়েছে। কিন্তু কারা এইসব জিগোলো দের ডাকেন ? শহরের সম্ভ্রান্ত ঘরের মাঝবয়সী মহিলারাই কিন্তু এইসব জিগোলো দের যৌনতা উপভোগ করবার জন্য কল করেন ! আরে বাবা, রতিক্রিয়ার সুখ বলে কথা ! তবে অনেকটাই ‘ ফেলো কড়ি – মাখো তেল ” এর আদলে , মানে পয়সার বিনিময়ে যৌনতা। আর সেইসব উচ্চ শিক্ষিত, এমনকি এমবিএ পাশ স্মার্ট , ঝকঝকে তরুণ গভীর রাতে গিয়ে ‘পরিষেবা’ প্রদান করেন! এক একজন জিগোলো দের মাসিক আয়ও কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়, মাসে দুই লাখেরও বেশি উপার্জন সম্ভব!
কলকাতার কিছু এলাকাতেও এইসব জিগোলো দের চাহিদা উত্তোরত্তর বেড়েছে! তবে এইসব জিগোলো দের এই পেশা কিন্তু অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং! কারণ, সেইসব মহিলারা যৌনতায় সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট না হলে কিন্তু সেইসব জিগোলো দের দ্বিতীয়বার তাঁরা ডাকবেন না । তবে জিগোলো হতে গেলে অবশ্যই প্রথমে সেই তরুণকে শারীরিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে। পুরুষ যৌনকর্মী বা জিগোলো দের কিন্তু প্রতি পদে পদে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয় ! বিশেষ করে সামাজিক অপবাদ একটা বড় ফ্যাক্টর ! তবে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই জিগোলোরা কিন্তু আজ পৃথিবীর আদিমতম পেশার সঙ্গে যুক্ত হন , যেখানে শুধুই পারস্পরিক নিবিড় আনন্দ উপভোগ করে যৌনমিলনে মেতে ওঠেন ।।