মডার্নার প্রতিষেধককে সবুজ সঙ্কেত
পিনাকী চৌধুরী- বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। তবে অনেকেই চিন্তিত কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে , যা কিনা অদূর ভবিষ্যতে আছড়ে পড়তে পারে সারা দেশে ! এ হেন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশি প্রতিষেধক মডার্নাকে ছাড়পত্র দেওয়া হল জরুরি ভিত্তিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে কোভ্যাকসিন , কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি কে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। এই মডার্নার প্রতিষেধক চতুর্থ সংযোজন। তবে ভারতের বাজারে মডার্নার প্রতিষেধক আমদানি পেয়েছে সিপলা কোম্পানি।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৯৬ কোটি মানুষকে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু কোভিশিল্ড ও কো ভ্যাক্সিন এর চাহিদার তুলনায় যোগান অপ্রতুল। সম্ভবত সেই কারণেই তড়িঘড়ি করে বিদেশী মডার্নার প্রতিষেধককে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে । তবে কোভিশিল্ড ও কো ভ্যাক্সিন এর তুলনায় মডার্নার প্রতিষেধকের কার্যকারিতা অনেকটাই বেশি, প্রায় ৯৪% । কিন্তু কিভাবে কাজ করে এই মডার্নার প্রতিষেধক ? এই টিকার মাধ্যমে সর্বপ্রথম শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রোটিন তৈরি হয় । আর ওই স্পাইক প্রোটিন যে যে বহিরাগত , তা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু সময় পরে পরের ধাপে মানব শরীর ওই প্রোটিনের বিরুদ্ধে ক্রমে ক্রমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। ফলস্বরূপ শরীরে ভবিষ্যতে যদিও বা করোনা ভাইরাসের প্রবেশ ঘটে, তখন অতিদ্রুত শরীরের অ্যন্টি বডি তৈরি হয় এবং বহিরাগত ওই শত্রুকে ( COVID 19 ) চিহ্নিত করে করে ফেলতে পারে । এখানে বলে রাখা ভাল যে, এই মডার্নার প্রতিষেধক প্রাপক কোনো ব্যক্তির যদিও বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে, তাহলে অন্তত মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে এবং অবশ্যই উক্ত রোগের তীব্রতা তুলনায় অনেক কম হবে ।