বায়ুদূষণ বাড়লে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
পিনাকী চৌধুরী।। ভারতে বায়ুদূষণ একটি বড় সমস্যা । আর সেই বায়ুদূষণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা । দেশে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এইরকম দাবি করা হয়েছে । ভারতের মোট ৭২১ টি জেলায় বিষয়ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়ে সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে । কিন্তু এই গবেষণায় কারা যোগদান করেন ? রৌরকেল্লা, উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়, পুনের এনআইটি , ভুবনেশ্বরের গবেষকরা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
মূলত ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন যে, যে সব রাজ্যে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার ( পিএম ২.৫ ) পরিমাণ যথেষ্ট বেশি রয়েছে, সেইসব রাজ্যের মানুষদের মধ্যে COVID 19 এ আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ সহ রাজধানী দিল্লিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি ছিল ! এছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে মুম্বাই, পুনে, আমেদাবাদ, কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের নাম।
প্রসঙ্গত কলকাতা, দিল্লি সহ দেশের ১৬ টি প্রধান শহরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সব শহরের বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার পিএম ২.৫ বেশি ছিল । শুধু কি তাই ? গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা পিএম ২.৫ এর পরিমাণের সঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটাও চোখে পড়বার মত !
সারা বছরের দূষিত বাতাসের দিবসের সংখ্যা যে সব শহরে ১০০ অতিক্রম করেছে, সেখানে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ! গবেষণার পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজধানী দিল্লিতে প্রতি বছর গড়ে ২৮৮ টি দূষিত বাতাস দিবস থাকে। তাই সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যাটিও বেশি ছিল । দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে মুম্বাই ও পুনে । তবে পাশাপাশি ব্যাতিক্রমও রয়েছে। যেমন শ্রীনগরে প্রতিবছর গড়ে ১৪৫ টি দূষিত বাতাস দিবস থাকে, কিন্তু সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা সেইভাবে বাড়েনি ।