জুম্বা: নাচের তালে শরীর ফিট রাখুন!
রোগমুক্ত শরীর পেতে ফিট থাকতে হবে। আর তার জন্য জুম্বা ক্লাসে নাম লেখানো মাস্ট। কারণ মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে চাঙ্গা রাখে এই ফিটনেস ডান্স প্রোগ্রাম। মেলে আরও অনেক উপকার (benefits of zumba)।
সাম্বা, হিপ পপ এবং ট্যাঙ্গোর মতো নানা ধরনের লাতিন এবং আন্তর্জাতিক ডান্সকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তৈরি হয়েছে এই ডান্স ফিটনেস প্রোগ্রাম (zumba)। এই ফিটনেস ট্রেনিং-এ বিশেষ পদ্ধতি মেনে গানের তালে নাচতে হয়। আর তাতেই মেলে নানা উপকার। হ্যাপেনিং মিউজিকের তালে নাচতে-নাচতে মন হালকা হয়, সেই সঙ্গে শরীরের ভিতরের এবং বাইরের ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগ-ব্যাধিই শরীরের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না (benefits of zumba for seniors)।
সাধারণত এক ঘণ্টা করে হয় এক-একটি সেশন। তাতে কোর ফিটনেস বাড়ানোর উপর যেমন জোর দেওয়া হয়, তেমনই কীভাবে আরও বেশি করে ক্যালরি বার্ন করা যেতে পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়ে থাকে। ১৩-৬০ বছর বয়সিরা জুম্বা (zumba) এক্সারসাইজে অংশ নিতে পারেন। এমনকী, বাচ্চাদের জন্যও রয়েছে সুযোগ। ৪ থেকে ১২ বছর বয়সি বাচ্চারা এই ডান্স ফিটনেস প্রোগ্রামে অনায়াসেই অংশ নিতে পারবে।
উপকারিতা
প্রতিদিন এক ঘণ্টা জুম্বা ট্রেনিং করলে কম-বেশি ৬৫০-১০০০ ক্যালরি বার্ন হয়। নিয়মিত এই পরিমাণে ক্যালরি বার্ন করলে ওজন কমতে সময় লাগে না। সবচেয়ে মজার কথা হল, এই পুরো এক্সারসাইজ প্রোগ্রামই গানের তালে হয়। তাই তো এত পরিশ্রম করার পরেও ক্লান্ত তো লাগেই না, উল্টে এনার্জি বাড়ে (health benefits of zumba)।
লাতিন মিউজিক মানে হল হাই এবং লো বিটের মিশ্রণে টোটাল ধমাকা! তাই তো এমন মিউজিকের সঙ্গে নাচার সময় মন ব্যাপক খুশি হয়ে যায়। সঙ্গে “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না (mental benefits of zumba)। আর স্ট্রেস কমলে আরও কত যে রোগ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে না, তা গুনে শেষ করা যাবে না।
শরীরের প্রতিটি পেশির ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলাই জুম্বা (zumba) ট্রেনিং এর মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে তুমুল ক্যালরি বার্নও হয়। আর এই দু’টি কাজ যখন এক সঙ্গে হতে থাকে, তখন শরীরের গঠন হয়ে ওঠে নজরকাড়া।
টানা এক ঘণ্টা নাচলে প্রচণ্ড ঘাম হবে। আর ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলি। ফলে রোগ-ব্যাধির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে। সঙ্গে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
জুম্বা ট্রেনিং করার সময় শরীরের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, যার প্রভাবে দেহের প্রতিটি কোণে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে কিডনি, লিভারের ক্ষমতা তো বাড়েই, সঙ্গে-সঙ্গে হার্টের পাম্পিং ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। ফলে কোনও ধরনের কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
হাই বিটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচা সহজ কাজ নয়। আর প্রতিদিন টানা ৬০ মিনিট সেই কাজটি আপনি যখন করবেন, তখন শরীরের সহ্য ক্ষমতা বাড়তে শুরু করবে। বাড়বে স্ট্যামিনাও। দেখবেন, কোনও কাজই তখন আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না। বাড়বে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসও।
** টিপস
বাড়িতে একথা ভুলেও ভাববেন না! কারণ, জুম্বা ট্রেনিং মানেই শুধু গানের সঙ্গে নাচ নয়। এই এক্সারসাইজ কিছু নিয়ম মেনে হয়। তাই প্রশিক্ষিত ট্রেনারের তত্ত্বাবধানেই এই শরীরচর্চা করা উচিত।