মৈত্রী-বন্ধন-মিতালিঃ ভারত-বাংলাদেশ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- অবশেষে ২৬ মাস পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে। আগামী ২৯ মে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির চলাচল শুরু হবে। আর ১ জুন চালু হবে মিতালি এক্সপ্রেস।
করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে-দর্শনা হয়ে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস। কলকাতা স্টেশন থেকে পেট্রাপোল বেনাপোল হয়ে খুলনাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস ও নিউ জলপাউগুড়ি থেকে চ্যাংরাবান্ধা হয়ে ঢাকাগামী মিতালি এক্সপ্রেস রয়েছে এর মধ্যে।অবশেষে দু’দেশের রেল মন্ত্রকের আলোচনার ভিত্তিতে চালু হতে চলেছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের মানুষদের কাছে মৈত্রী এক্সপ্রেস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ট্রেন। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। অনেকের বিমানের টিকিট কাটার সামর্থ্য থাকে না। অনেকে সড়কপথে বাসে কলকাতা আসার ধকল নিতে পারে না শরীর। তাদের একমাত্র ভরসা দু’দেশের সংযোগ রক্ষাকারী ট্রেনগুলি। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, একে একে চালু হয়ে যাবে বাকি ট্রেনগুলিও।
বাংলাদেশে পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে ঢাকায়। তা ছাড়া বনগাঁ লোকালকে পেট্রাপোল পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করে। বন্ধন এক্সপ্রেস চলে খুলনা-কলকাতা পথে। আর মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির পথে চলবে। দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, মিতালি এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এসি বার্থের ভাড়া হবে ৪ হাজার ৯০৫ টাকা। এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৮০৫ টাকা। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৭০৫ টাকা। কী ধরণের রেক চলাচল করবে তা শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে।যার ফলে খুব শীঘ্রই বুকিং শুরু হবে এই সব ট্রেনের।