হৃদ্সংক্রান্তি

চাণক্য বাড়ৈ

আমার হৃৎপিণ্ড ঠোঁটে করে উড়ে যাচ্ছে যে পাখি, তার জন্য এই উলুধ্বনিময় সন্ধ্যা। ভাবছি, কে হবে আজ এই হৃদ্সংক্রান্তির যোগ্য পুরোহিত। ও পাখি, বলো, কোন পুরাণে তোমার বসবাস? আর কোন সর্গে তোমার স্নানদৃশ্যের ললিত শোলোক? আমি ফেটে-পড়া ডালিমের বিচ্যুত দানার মতো এই জীবন পুরোটা বন্ধক রেখে তোমাকে একফোঁটা পবিত্র জল এনে দেব।

পাতা আছে মঙ্গলঘট; এখনই বেজে উঠবে করুণ পাঞ্চজন্য। আতপ হলুদ আর শিলনোড়া নিয়ে ওই তো বসে গেছে গ্রাম্য বধূরা। বাঁটা হবে হরিতকী নিম সুগন্ধি চন্দন। এই মাহেন্দ্র-মুহূর্তে দূর্বা আর তিল-তুলসীভরা বরণ-কূলা নিয়ে কীভাবে দাঁড়াই– আমি তো সেই অবিমৃশ্যকারী, যে এক নিষিদ্ধ নদীর আহ্বান উপেক্ষা করতে না পেরে বেছে নিয়েছে অন্ত্যজ– অচ্ছুৎ জীবন…

পাতা আছে মঙ্গলঘট; এখনই বেজে উঠবে করুণ পাঞ্চজন্য। আতপ হলুদ আর শিলনোড়া নিয়ে ওই তো বসে গেছে গ্রাম্য বধূরা। বাঁটা হবে হরিতকী নিম সুগন্ধি চন্দন। এই মাহেন্দ্র-মুহূর্তে দূর্বা আর তিল-তুলসীভরা বরণ-কূলা নিয়ে কীভাবে দাঁড়াই– আমি তো সেই অবিমৃশ্যকারী, যে এক নিষিদ্ধ নদীর আহ্বান উপেক্ষা করতে না পেরে বেছে নিয়েছে অন্ত্যজ– অচ্ছুৎ জীবন…

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page