‘সুখের ফল’ খেয়েছেন কখনো
ফলের জগতে অসম্ভব হারে জনপ্রিয় এই ফল মূলত তিব্বতে জন্ম। সেখানে একে “সুখের ফল” বলেও ডাকা হয়ে থাকে কারণ এটি খেলে তারা মন ভালো থাকে বলে দাবি করে থাকে।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, প্রায় ২০০০ বছর আগে জঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ও সেই সময় থেকেই মানুষ এর ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে তিব্বত, নেপাল ও হিমালয়ের পার্বত্য-প্রদেশে এটির চাষ দ্রুতহারে বাড়ছে।
গোজি বেরি কিভাবে যোগ করবেন ডায়েট প্ল্যানে?
স্মুদি, ওটমিল,দই,স্যালাড,প্যাটি বা গ্রিল্ড স্যান্ডুইচ অথবা ডেজার্ট আইটেমে আপনি গোজি বেরি ব্যবহার করতে পারেন। তবে যেকোনো রেসিপিতে দেবার আগে গরম জলে অবশ্যই ফুটিয়ে নেবেন মনে করে।
গোজি বেরির উপকারিতাঃ
- এটি ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল অবস্থা উপহার দেয়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি এজিং প্রপার্টিজ ত্বককে ইতিবাচক রূপ দেয়। এটি ফ্রি রেডিকেল মুক্ত করে ও ত্বকের কোলাজেন ভাঙতে দেয় না। এমনকি এটাও প্রমাণিত যে এটি ত্বকের ক্যানসার এর ঝুঁকি অব্দি হ্রাস করে।
- মানসিক অবসাদ, কাজের ক্লান্তি বা হতাশার প্রভাবগুলি বিরুদ্ধে এই বেরির উপকারী উপাদান কাজ করে থাকে।
- চোখের মণি, চোখে হারানো ইত্যাদি আদর করে আমরা বলি আমাদের কাছে চোখের গুরুত্ব কতখানি তা মেলে ধরার জন্যই। বেরিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ইউভি রশ্মি যা সূর্য থেকে আসে, সেটার মোকাবিলা করে। পাশাপাশি চোখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
- প্রতিদিন অন্তত ২০গ্রাম পরিমাণ গোজিবেরি একমাস যাবৎ গ্রহণ করার পর দেহে ট্রাইগ্লিসারওয়েড এর পরিমাণ স্বাভাবিক হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে হার্ট হয়েছে চাঙ্গা।
- এর মধ্যে থাকা ফাইবার মেটাবলিক রেট উন্নত করে ক্যালোরি বার্ন করাতে বেশি বেশি হেল্পফুল। রক্তচলাচল উন্নত করে এনার্জি নিয়ে আসে, ফলে ওজন কমতে দেরি লাগেনা। তাই যদি আপনার টার্গেট হয় জিরো ফিগার সাথে এটিকে সঙ্গী করতেই পারেন।