রেকর্ড ভাঙল উষ্ণতা, ৫৩ বছরে উষ্ণতম ডিসেম্বর বাংলায়
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- উষ্ণায়ণের কবলে বাংলা। সাত বছরের মধ্যে উষ্ণতম বড়দিন পেল কলকাতা। ভেঙে গেল ৫৩ বছরের রেকর্ড। অন্যদিকে আরেক দুঃসংবাদ, বর্ষবরণের উৎসবও কাটবে এই উষ্ণতাকে সঙ্গী করেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পারদ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বঙ্গোপসাগরের কারণে। তাই বর্ষবরণও যে ‘উষ্ণ’ কাটতে পারে, তার পেছনে থাকবে সুদূর ভূমধ্যসাগর। সমুদ্রের জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস শুকনো, হিমেল উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যার ফলে বঙ্গে শীত ঢুকতে পারছে না কোনওভাবেই।
ডিসেম্বরের শেষে এসে কলকাতার পারদ চড়েছে কুড়ির উপরে। সোমবার ছিল ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবারও ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। পৌষ মাসের মাঝামাঝি এসেও পারদের এমন ঊর্ধ্বগমন বঙ্গবাসীর কাছে খুবই হতাশার। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ৫৩ বছরের রেকর্ড, ১৯৬৯ সালের পর ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এই প্রথম এত উচ্চতায় রয়েছে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অর্থাৎ, ঠান্ডার রেকর্ড ভাঙার বদলে ২০২২-এর শীতে ভাঙল উষ্ণতার রেকর্ড।
তবে আশার খবর এটাই যে, বুধবার রাত থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২-৩ দিনে ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে তাপমাত্রা। অর্থাত্, শীত ফিরবে। তবে তা খুবই সামান্য এবং পরিমিত সময়ের জন্য। বর্ষশেষের ঠিক আগের দিন থেকেই পারদ আবার উষ্ণতার দিকে এগোবে। এবার শীতের পথে কাঁটা হবে ভূমধ্যসাগরের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার ফলে সমগ্র উত্তর ভারতেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে উত্তুরে হাওয়া। উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ভারতে এখন হাড়-হিম করা ঠান্ডা। শূন্যের কাছে রাজস্থানের তাপমাত্রা, পাঁচের আশপাশে রাজধানী। ঝঞ্ঝার পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে সেখানেও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে মৌসম ভবন। যার প্রভাব পড়বে বাংলাতেও।