কোভিড মুক্ত হয়েছেন! ব্যবহৃত টুথব্রাশ ফেলে দিয়েছেন তো
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- প্রায় ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু তাই বলে তো সময়, কাজ, জীবন থেমে থাকবে না। সব কিছুই তার নিয়মে চলবে। আর আপনাকেও কোভিড মুক্ত হয়ে ফিরে আসতে হবে রোজকার জীবনে। তবে জানেন কি আপনার ব্যবহৃত ব্রাশটি কতটা ক্ষতিকর…
তবে শুধু নিজের ক্ষতি করছেন তাই নয়, অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারেন এর ফলে। যাঁরা আপনার বাথরুম ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য আরও ভয়াবহ। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর কেন আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত?
- চিকিত্সকদের বক্তব্য, প্রতি ৩ মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করার নিয়ম। তবে কোভিড পরবর্তীতে টুথব্রাশ বদল করতে এতটুকু দেরি করবেন না। অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন।
- ভাইরাস প্লাস্টিকের উপর দীর্ঘ সময়ের জন্য বেঁচে থাকতে পারে। তাই নিরাপদে থাকতে টুথব্রাশটি ফেলে দেওয়া উচিত।
- এটি শুধুমাত্র পুনঃসংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে না,পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যদি একই ওয়াশরুম ব্যবহার করে থাকে তাহলেও সুরক্ষিত রাখবে।
- সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আপনার জিভ পরিস্কারের সরঞ্জামগুলিও ফেলে দিতে হবে।
- আমরা সকলেই ইতিমধ্যে জানি যে এই ভয়ংকর ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। এমনকি মুখের স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে তোলে। কারণ এটির ফলে মাড়িতে ঘা ও শুষ্ক মুখের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব রোগী খুব বেশি অসুস্থ তাদের মুখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে।
- সঠিক ওরাল হাইজিনের অভাবের কারণে আরও সমস্যা বাড়তে পারে। শুষ্ক মুখে ব্যাকটেরিয়া ও ওরাল আলসারের বৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
- ভাইরাসটি মূলত সংক্রামিত ব্যক্তির মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ছোট ছোট ফোঁটার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। বিশেষ করে কাশি, হাঁচি, কথা বলার পর, এমনকি হাসলেও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ভাইরাস-যুক্ত যে কোনও জিনিসের উপর স্পর্শ করলেও তা সংক্রামিত হওয়া সম্ভব। এই কারণেই নিয়মিত হাত ধোয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সতর্কতা অবলম্বনের ক্ষেত্রে সামান্য প্রচেষ্টাই আপনাকে রক্ষা করতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। ওরাল হাইজিনের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা প্রযোজ্য।
কোভিডের সময় ও পরে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন-
- দাঁত ব্রাশ করার আগে, এমনকি ফ্লস করার সময়ও ভাল ভাবে হাত ধুয়ে নিন।
- প্রতিদিন দু’বার ব্রাশ করুন, ফ্লস করুন এবং আপনার জিভ পরিষ্কার করুন।
- নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
- ওয়াশরুম ব্যবহার করার পরে ভাইরাসের আরও বিস্তার এড়াতে অবশ্যই সিঙ্কটি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। কারণ এর মাধ্যমেই অন্যজনও সংক্রামিত হতে পারে।
Source- News time