সব খারাপই কি আর খারাপ!
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- এমন ভাবে কেউ ভাবতে পারে, সেটাও ভাববার বিষয়। ছোট থেকে দুটো শব্দ আমরা শিখে এসেছি, ভালো আর খারাপ। আর এই শব্দ দুটো আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। যেখানে একটু এদিক ওদিক হলেই জোটে ভালো খারাপের তকমা।
তবে এ গল্প একটু অন্য রকম। উচ্চ শিক্ষিত হয়েও মেলেনি কোনও চাকরি। ছেড়ে গিয়েছে প্রেমিকাও। সব জায়গাতেই জুটেছে খারাপ তকমা। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দুবরাজপুরে বাবা, মাকে নিয়ে আঠাশ ছুঁই ছুঁই শুভেন্দুর ছোট্ট সংসার। সংস্কৃতে সাম্মানিক স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি ডিএডের প্রশিক্ষণ নিলেও চাকরি মেলেনি। দেখেশুনে আত্মীয়স্বজনদের কেউ কেউ বলেছিলেন, উচ্চশিক্ষিত হলেও শুভেন্দুর পড়াশোনার মান নিশ্চয়ই ‘খারাপ’। না হলে কি আর চাকরি জুটত না! প্রেমিকাও সম্পর্ক ছিন্ন করেন ‘খারাপ’ ছেলের সঙ্গে।
খারাপ শব্দটি নিজের জীবনের সঙ্গে এভাবে জুড়ে যাওয়ায়, ভেবেছিলাম দোকানের নামেও থাক সেই শব্দটা। এই ভেবেই দোকানের নাম রেখেছেন ‘শুভেন্দুর খারাপ চা’। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অনেকেই এই বিজ্ঞাপন দেখে খারাপ চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিয়ে পরখ করেন চা ঠিক কতটা খারাপ! এরকম বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর শুভেন্দুর বিক্রি অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে দুশো থেকে আড়াইশো কাপ চা বিক্রি হলেও এখন প্রতি দিন প্রায় ৪০০ কাপ চা বিক্রি করেন এই ‘খারাপ’ চাওয়ালা।
খারাপের ভেতর আটকে পড়া সেই ছেলেই বাজিমাত করল। সঙ্গী সেই ‘খারাপ’! বাঁকুড়ার ছাতনা লাগোয়া দুবরাজপুর মোড়ের শুভেন্দুর খারাপ চায়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড় এখন। তাহলে সব খারাপই খারাপ নয়। তাই নয় কি!