‘আমুল’এর কার্টুন, শ্রদ্ধার্ঘ্য ‘বেলাশুরু’র সৌমিত্র-স্বাতীলেখা জুটিকে
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- ‘বেলাশেষে’ দেখার পর যেভাবে রেশ থেকে গিয়েছিল। ঠিক সেরকমই ‘বেলাশুরু’ দাগ কেটে গেছে দর্শকদের মনে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জুটি মানুষকে নতুন করে ভালবাসতে, যত্ন করতে শিখিয়েছে। এই বয়সেও যেন মায়া ছড়িয়ে গেছেন দুজনেই।
গত ২০ মে মুক্তি পেয়েছে ‘বেলাশুরু’। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি মিলে ফের মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সিনেমা জুড়ে। গোটা পরিবারকে নিয়ে আবারো দর্শকদের দরবারে বিশ্বনাথ আরতি জুটি। মুক্তির আগে থেকেই উন্মাদনা তৈরি করেছিল ছবিটি,যা মুক্তির পরেও অব্যাহত। প্রথম দিনেই ৩৫ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে বেলাশুরু।
সৌমিত্র স্বাতীলেখাকে অনন্য ভঙ্গিতে শ্রদ্ধা জানালো আমুল গ্রুপ। আমুলের কার্টুন সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন স্মরণীয় ঘটনা, ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কার্টুন সাজিয়ে তোলে এই নামী দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক সংস্থা। এবার তাদের কার্টুনে জীবন্ত হয়ে উঠলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বেলাশুরু ছবির একটি দৃশ্যে যত্ন সহকারে স্ত্রী আরতির চুল আঁচড়ে দিতে দেখা যায় বিশ্বনাথকে।
View this post on Instagram
ছবির সঙ্গে লেখা, ‘এই বেলা কখনো শেষ হবে না’। অন্যদিকে ক্যাপশনে লেখা, ‘এই ছবির মাধ্যমে কামব্যাক করছেন শ্রী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীমতী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। এই প্রথম কোনো ভারতীয় ছবির মুখ্য চরিত্রের দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীই আর জীবিত নেই।’
একটা ছোট্ট ভিডিও টিজারে দেখা যাচ্ছে দুজনকেই। যেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে সৌমিত্রর কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের লেখা, ‘কত দুঃখ আছে, কত অশ্রুজল, প্রেমবলে তবু থাকিয়ো অটল’।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র নভেম্বরে করোনার সময় দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রয়াত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে গত বছরের জুনে প্রয়াত হন স্বাতীলেখা। এটাই তাঁদের দুজনের জুটি হিসেবে শেষ ছবি ছিল।