বাড়ির অপছন্দ থাকলেও পর্দার পুষ্পাকে বিয়ে বাস্তবের শ্রীবল্লির
হ্যাঁ ঠিক তাই। প্রথম দেখায় যে প্রেম ধরে রেখেছিলেন দুজনে। বাড়ির তাতে কোনও মত ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার কাছে মাথা নোয়ায় দুই পরিবারই। বলছি, পর্দার ‘পুষ্পা’ বাস্তবের হিরো আল্লু অর্জুনের কথা। দক্ষিণী সুপারস্টারের গতকাল ছিল জন্মদিন। পুষ্পারাজ হয়ে গোটা দেশে রাজত্ব করেছেন বাহুবলীর পর। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল পুষ্পা-শ্রীবল্লি’র জুড়ি। কিন্তু পুহশপারাজের বাস্তবের শ্রীভল্লিকে চেনেন তো? বলছি আল্লু অর্জুনের স্ত্রী স্নেহা রেড্ডির কথা। তাঁদের প্রেম কাহিনিও কিন্তু বড়পর্দায় জায়গা করে নেওয়ার মতোই।
কথায় আছে বিপরীত মেরুর মধ্যে আকর্ষণ সবথেকে বেশি থাকে। লোকমুখে বহু প্রচলিত এই কথা আল্লু অর্জুন ও তাঁর স্ত্রী স্নেহা রেড্ডির ক্ষেত্রে এক্কেবারে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। স্নেহা রেড্ডি কিন্তু অভিনয়ের সঙ্গে দূরদূরান্ত পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। হায়দ্রাবাদে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।তাহলে এই দুই ভিন্ন জগতের মানুষের মনের মিল হল কীভাবে?
শুরুটা সেই দশ বছরেরও বেশি আগে। এক বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন আল্লু। সেখানেই সেই বিয়েবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন স্নেহাও। বন্ধুর সূত্রেই আলাপ দুজনের। সুন্দরী এবং ব্যক্তিত্বময়ী স্নেহাকে প্রথম দেখাতেই মন দিয়ে বসেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সে সময় সৌজন্য বিনিময় ছাড়া আর কোনো কথাই এগোয়নি তাঁদের।
পরে অবশ্য বন্ধুর উৎসাহেই স্নেহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন আল্লু। সাড়া আসে অন্য দিক থেকেও। এরপর ধীরে ধীরে পরিচয় গড়ায় প্রেমে। বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেন দুজনে। এতদূর পর্যন্ত সবটাই চলছিল গোপনে। একদিন আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ সবটা জেনে যান। কানাঘুষোয় শোনা, দুই পরিবারই প্রথমে এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিল।
স্নেহার বাবা মা চাননি মেয়ে একজন অভিনেতাকে বিয়ে করুক। অন্যদিকে আল্লু ও স্নেহা দুজনেই বদ্ধপরিকর ছিলেন, বিয়ে করলে দুজন দুজনকেই করবেন। তাঁদের জেদ দেখে নরম হয় দুই পরিবার। এরপর ২০১০ এর নভেম্বরে বাগদান সারার তিন মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আল্লু ও স্নেহা। তাঁদের জীবনে আসে ছেলে আল্লু আয়ান ও মেয়ে আল্লু আরহা।
আল্লু অর্জুন একবার জানান তাঁর স্ত্রী খুবই কড়া ধাতের। স্নেহা বলেন, আল্লুর মহিলা অনুরাগীদের তাঁর সঙ্গে কিছুদিন থাকা উচিত। তাহলেই তাঁরা আর অভিনেতার ভক্ত হবেন না। আল্লু নিজেও জানিয়েছিলেন, পুষ্পার পর তিনি এমন কোনো ছবি কখনো করবেন না যেটা তিনি নিজের স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে বসে দেখতে না পারেন। এমনই হলেন আল্লু অর্জুন।
সারা দেশে যেখানে পুষ্পা রাজ চলছে সেখানে পুষ্পা কিনা শ্রীবল্লি’র ভয়ে থাকেন!