ভ্যানিশ হোক ব্রণর সমস্যা
আমাদের মধ্যে অনেক সময়ই ব্রণ খোঁটার অভ্যেস থাকে। যা স্কিনের ক্ষেত্রে মারাত্মক হয়ে যায় পরবর্তী কালে। দাগ যেতে চায় না কিছুতেই। সুন্দর, মসৃণ মুখে দাগ নিয়ে ঘুরতে হয়, আর খুজতে হয় রেমেডিস। তাই বলব, কখনোই ব্রণে নখ দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না। এমন করলে দাগ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। এর জন্য প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে যেমন, তেমনি নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন ভীষনভাবে। অনেকসময় অতিরিক্ত ঘুমের কারণেও ব্রণ হতে পারে। তাই দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন অবশ্যই।
দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনের পাশাপাশি ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কাটাতে ব্যবহার করতে পারেন কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায়।
- ত্বকে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের ফলেই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে মুখে মুলতানি মাটি জল দিয়ে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। কারণ মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করে সাহায্য করে।
- এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন শশার রস। শশার রস স্কিনের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে ভালো কাজ করে। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। কিংবা আইস কিউব করে রেখেও ইউজ করতে পারেন, এতে ওপেন পোরসের প্রবলেমও সলভ হবে অনেকটা।
- শশার রস, চালের গুঁড়ো ওমধু স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। শশার রস মুখে ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকর। আর যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারো এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, খুব বেশি ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।
- আবার নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়।দারুচিনি গুঁড়োর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
- রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মাসাজ করে সারারাত রাখতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়। আপনি এটি আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।