সারাদিন ল্যাপটপে চোখ, কাজের ফাঁকে চোখের যত্ন নিন এভাবে
করোনার ফলে বদলে গেছে অফিস। এখন বেশিরভাগ অফিসই হচ্ছে বাড়ি থেকে। যার ফলে কাজের সময় অনেক বেড়ে গিয়েছে। সঠিক সময় কাজে বসলেও কখন উঠছেন তার কোনও ঠিক নেই। আর সারাক্ষণ ধরে নয় মোবাইল, নয় ল্যাপটপ নয়তো ট্য়াবের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। যার ফলে চোখের পুরোপুরি বারোটা বেজে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে এই ডিভাইসগুলির সামনে বসে কাজ করার ফলে বাড়ছে চোখের পাওয়ার, আবার কখনও চোখে যন্ত্রণাও করছে। তাই অবহেলা না করে মেনে চলুন ছোট্ট কয়েকটি টিপস।
- কাজ করার সময় একভাবে ল্যাপটপ বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। তার চেয়ে মাঝে মধ্যে অন্যদিকে তাকিয়ে নিন। সময় বের করে কাজ থেকে উঠে কিছুক্ষণ ঘরের জানলার পাশে দাঁড়ান। চোখকে আরাম দিন। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন। এতে চোখ অনেক বিশ্রাম পাবে।
- কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যেই চোখে জলের ঝাপটা দিন। দেখবেন আরাম পাবেন। তবে খুব জোরে ঝাপটা দেবেন না। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই হালকা করে চোখ ধুয়ে নিন। এতেও চোখ অনেকটা আরাম পাবে।
- শরীরে পাশাপাশি চোখেরও ব্যয়াম রয়েছে। দিনে অন্তত একবার চোখের ব্যয়াম করা উচিত। ধরুন আপনি একটা জায়গাতে বসে রয়েছেন। সেখান থেকে দূরের জিনিস দেখার চেষ্টা করুন। আর তারপরই কাছের জিনিস দেখুন। এভাবে দিনে অন্তত পাঁচবার করুন।
- আপনার চোখে হয়তো পাওয়ার নেই কিন্তু কাজের সময় চশমা পরুন। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে যে নীল আলো বেরোয় তা চোখের পক্ষে খুবই খারাপ। তাই পাওয়ার না থাকলেও ব্লু কোটিন লাগানো চশমা তৈরি করে নিন। আর কাজের সময় সেটি পরে করুন। এতে চোখে আরাম পাবেন।
- সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে মনিটর ২২ ইঞ্চি দূরে রেখে কাজ করুন। ঘরের আলোর উজ্জ্বলতা যেন মনিটর থেকে একটু কম থাকে। সকালে রোদে বের হওয়ার সময় খালি চোখে বের হবেন না। অবশ্যই সানগ্লাস পরুন।
- চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অবশ্যই। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। এতে চোখ আরাম পাবে। চোখের ক্লান্তিও দূর হবে।
- কাজ থেকে ওঠার পর একেবারেই মোবাইলের দিকে তাকাবেন না। ইচ্ছে করলেও মনকে বোঝান। সেই সময়টা চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।