ঠোঁটে খেলুক গোলাপি আভা

তৃতীয়পক্ষ রূপকথা- নরম, গোলাপি ঠোঁট সবারই পছন্দ! তবে তার জন্য কসরতও তো কম করিনা আমরা। বিভিন্ন রকমের লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে দিয়ে থাকি, লিপবাম লাগাই আরও কত কিছু না করি। বাজারচলতি প্রোডাক্টে থাকে নানারকম ক্ষতিকর রাসায়নিক। সেগুলো ঠোঁটের ভালর চেয়ে মন্দই বেশি করে। অথচ সহজ কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্যেই নরম ও গোলাপি ঠোঁট পাওয়া সম্ভব।

ঠোঁটের যত্নে যা করবেন-

  1. রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এক্সফোলিয়েট করুন। অর্থাৎ ঠোঁটের উপর জমে থাকা মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলুন। আর তার জন্য দরকার একটা ভেসলিন ও একটা পুরনো টুথব্রাশ। টুথব্রাশে ভেসলিন লাগিয়ে আলতো করে ঘষলেই মরা কোষ উঠে যাবে।
  2. আমন্ড তেল ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। সেটা দিয়ে ঠোঁটে আলতো করে সপ্তাহে একবার ট্রাই করুন। আমন্ড তেল ঠোঁটে পুষ্টি যোগাবে এবং মধু ডেড সেল তুলে দেবে।
  3. তবে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না। ভিতর থেকে আপনাকে আর্দ্র থাকতে হবে। তাই প্রতিদিন ১২ গ্লাস জল পান করতে হবে।
  4. শিয়া বা কোকোয়া বাটার আছে এমন লিপ বাম বেছে নিন নিজের জন্যে। এই দুটোই আপনার ঠোঁটের জন্য ভাল। যদি সেটা না হয় তাহলে নারকেল তেল ব্যবহার করুন ঠোঁটের জন্য।
  5. ভিটামিন-ই ট্যাবলেট খেতে পারেন ঠোঁট ভাল রাখার জন্য। বা এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যাতে ভিটামিন-ই আছে। এই ভিটামিন ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং নতুন কোষের জন্ম দেয়।
  6. আপনার যদি সারা বছর ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকে তাহলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন এক্ষেত্রে। অ্যালোভেরার মধ্যে সেই গুণ আছে যা ঠোঁট ফাটা কমায় ও ঠোঁট ফাটার ফলে যে জ্বালা জ্বালা ভাব হয় সেটাও দূর করে।
  7. সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে আপনার ত্বকের যতটা ক্ষতি করে ততটাই ক্ষতি করে ঠোঁটের জন্য। তাই বাইরে বেরোলে ঠোঁটে এসপিএফযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

গোলাপি ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া প্যাক

হলুদ হল সর্বরোগ নিরাময় আর দুধে আছে আর্দ্রতা, তাছাড়া দুধ হল একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার। এই দুটি শক্তিশালী উপাদান মিশে গেলে সেটা ঠোঁটের জন্য উপকারি। দুটো মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার ঠোঁটের লালীমা কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page