গল্প।। আয়না।। সৈকত ঘোষ
ভালোথাকা একটা আর্ট। যে কোনও সম্পর্ককে যেমন লালন করতে হয় তেমনি ভালোথাকা, প্র্যাক্টিস করতে হয়। চোখের কোণে চিকচিক করা জলের মতো ভালোথাকার শরীরে অনেক ভালো না থাকা জন্ম নেয়। আমরা জানি, জেনেও জানতে চাই না। আমরা বুঝি, বুঝেও বুঝতে চাই না। এসব কথা কি সবার সামনে বলার! একমাত্র রাত জানে, প্রতিটা মুহূর্ত তাকে কতটা ক্ষয়ে যেতে হয়। ভিড়ের মাঝে ধাক্কা খেতে খেতে কতটা একা হয়ে যায় জীবন। জীবন সে তো নদীর মতো বয়ে চলা। চার আঙুলে ছুঁয়ে দেখতে চাওয়া রূপকথা। আসলে আমরা সবাই মুহূর্ত নিয়ে বাঁচতে চাই। মুহূর্তকে যত্নে আগলে রাখতে চাই। সময়ের নিয়মে বদলে যায় মানুষ, রেখে যায় স্মৃতির আবছা ফ্রেম।
দুই।
শোভনা চ্যাটার্জী, বয়স বাহাত্তর। ছিপছিপে চেহারা চোখে রিমলেস চশমা মুখে সবসময় একটা মৃদু হাসি। কপালে রিংকেলস পড়েছে কিন্তু বয়সের ছাপ সেভাবে ম্লান করতে পারেনি চার্মিং পারসোনালিটিকে। বুদ্ধিদীপ্ত চোখ সহজেই নজর কেড়ে নেয়। রং ভালোবাসেন, ভালোবাসেন নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে। যে কোনো ভালো বই এক নিশ্বাস। শখ জীবনকে নানা আঙ্গিকে খুঁজে বেড়ানো। পরিপাটি শাড়ি ছোট্ট টিপ হালকা লিপস্টিক এক ঝলকে অপর্ণা সেনকে মনে করিয়ে দেয়। এক কথায় ঐতিহ্যের সঙ্গে সময়ের মেলবন্ধন। একসময় সিটি কলেজে অধ্যাপনা করতেন, বিষয় বাংলা। মেধা এবং সৌন্দর্যে নিজের সময়ে হার্টথ্রব। কিন্তু ভাগ্য! সবার কপাল এক রকম হয় না। সুখ সে তো মহুয়া ফুলের মতো। গন্ধে বিভোর হতে হতে এক সময় সে গন্ধও ফুরিয়ে যায়, সময়ের নিয়মে ঝরে যায় ফুল। হাসবেন্ড ছেড়ে গেছেন প্রায় পঁচিশ বছর। না, সো-কলড ডিভোর্স নয় এ এক অদ্ভুত মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং। ছায়ার মতো কোথাও একটা অস্তিত্ব রয়ে গেছে। কিন্তু থেকেও নেই। একটা সময় পর দুজনেই ঠিক করেছিলেন এভাবে আর হচ্ছে না। এক ছাদের তলায় দূরত্ব আলোকবর্ষের। আর যেন নতুন করে কিছু দেওয়ার নেই, পাওয়ারও না। যেরকম প্রতিটা সম্পর্কের একটা ভ্যালিডিটি থাকে। ভ্যালিডিটি শেষ হওয়ার পর জীবন নদীর মতো বয়ে চলা। কোনও জোয়ার ভাঁটা নয় বয়ে চলা ব্যক্তিগত মিউট। বিকাশ ইঞ্জিনিয়ার, কোল-ইন্ডিয়ায় বড়ো পোস্টে চাকরি করতেন। রিটায়ার, সেও পনেরো বছর হল। শান্তিনিকেতনে একটা বাংলোয় থাকেন। এই বাংলোটায় কতো স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। ড্রইং থেকে লন, ইন্টেরিয়র থেকে ছাদ নিজের মতো করে সাজিয়ে ছিলেন শোভনা। সেসব মাঝবয়সের কথা। বিকাশের তখন মধ্যপ্রদেশ পোস্টিং। দুজনে সাধ করে নাম রেখেছিলেন ইচ্ছেডানা। বিকাশের ইচ্ছে ছিল আর্টিস্ট হওয়ার, পরিবারের চাপে সে ইচ্ছে পুরো হয়নি। আর তাই শেষ বয়সের জন্য এই আস্তানা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে যা হয়। ব্রাইট ফিউচারের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং। তারপর চাকরি বোনেদের বিয়ে পরিবারকে সাপোর্ট দেওয়া, নিজের ইচ্ছে পুরো করার ফুরসৎ কোথায়। এরই মাঝে হটাৎ ঝড়ের মতো প্রেম।
তখন উত্তাল সিক্সটিস। ম্যাটিনিতে উত্তম সুচিত্রা। কলেজে নকশাল। দুজনেই যাদবপুর। আর্টস ডিপার্টমেন্টের একটা অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা। চোখে চোখ। গল্প জমতে বেশি দিন লাগেনি। এক বন্ধুকে দিয়ে চিরকুট পাঠিয়ে ছিল বিকাশ। তখন তো আর এখনকার মতো এনড্রয়েড প্রেম ছিল না। একটা চিঠির পর গালে হাত দিয়ে অপেক্ষা। প্রেমে এই অপেক্ষারও একটা আলাদা ফ্লেভার থাকে। হয়তো এখনও সেই অপেক্ষাটা কোথাও একটা রয়ে গেছে। সে বছর বিকাশের ফাইনাল ইয়ার। ১৯৬৬তে কোল-ইন্ডিয়ায় জয়েন। পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম। মাসে একবার দেখা। কিন্তু ওই একটা অদ্ভুত টান। বিকাশের চেয়ে বছর তিনেকের ছোটো শোভনা। উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির মেয়ে। স্বভাবতই বাড়িতে মেনে নেয়নি। এক প্রেম তার ওপর ছেলে মেদিনীপুরি। ততদিনে নদীতে অনেক জল বয়ে গেছে। মন থেকে দুজনেই এগিয়ে গেছে অনেক দূর। বেশ মনে আছে একাত্তরে চাকরি পেয়ে সেই বছরই বিয়ে। সে এক বৃষ্টিদিন। কলকাতা জলে জলময়। কোনো বাড়ির কেউ আসেনি। দু’চার জন কাছের বন্ধু। ওরাই সব এরেঞ্জ করেছিল। আসলে শোভনা নিজে চাকরি না পেয়ে বিয়ে করতে চায়নি, চায়নি কারও বার্ডেন হতে। যদিও বিকাশ এসব নিয়ে কোনোদিন জোর করেনি। উলটে ওকে ইন্সপায়ার করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট হতে। সবসময় চেয়েছে শোভনা নিজের স্বপ্ন পুরো করুক। বিয়ের তাড়া ছিলনা বিকাশেরও। দুই বাড়ির অমতেই বিয়ে। শুরু নতুন জীবন। নতুন স্ট্রাগল। বছর দুয়েক ভাড়া তারপর বাঙ্গুরের এই বাড়ি। ওদিকে শোভনের কলেজ আর বিকাশের অফিস। ততদিনে ভালো পোস্টে চলে গেছে বিকাশ। এক ইন্টেলিজেন্ট দুই হার্ড-ওয়ার্কিং তাই প্রমোশনও তাড়াতাড়ি। সেই সময় আসানসোল ট্রান্সফার নেয় বিকাশ। উইকএন্ডে দুজনে ভাগ করে কলকাতা আসানসোল। ফ্ল্যাশব্যাকের মাঝে হটাৎ সম্বিৎ ফেরে ঐশিকার। ঘড়ি বলছে রাত দুটো বেজে দশ। কতক্ষন এভাবে মনে নেই। ব্যালকনিতে বসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে রাতের পর রাত এভাবে কেটে যায়। কথারা দলা পাকায় মস্তিষ্কে। একটার পর একটা ঘুড়ি, লাল নীল হলুদ। জীবনের বিভিন্ন সিন ক্যালাইডোস্কোপে ভেসে ওঠে। মুহূর্তগুলো ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা সেই মানুষটাও কী এভাবে…না আর ভাবতে পারে না। একটা অদ্ভুত কষ্ট। বুকের মাঝে একটার পর একটা ঢেউ। পায়ে পায়ে বেডরুমের দিকে এগিয়ে যায় শোভনা। কাচের গ্লাসে ঢক ঢক করে কিছুটা জল খায়। ড্রয়ার থেকে মালবোরো লাইটের প্যাকেটটা বের করে। কাঁপা কাঁপা হাতে আগুণটা ধরিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। ধোঁয়ার মতো হালকা লাগে নিজেকে। এ অনুভূতি একমাত্র যার আছে সেই বুঝবে। ছাইয়ের অবশেষ থেকে ঘুমঘোর শহরটা জেগে ওঠে। একটা ছায়া। একটা দৌড়। নিজের ছায়ার সঙ্গে, একাকিত্বের সঙ্গে, মুহূর্তগুলোর সঙ্গে।
তিন।
সৌরাষ্ট্র তখন মাধ্যমিক। বাবান সৌরাষ্ট্রর ডাকনাম। ওদের একমাত্র সন্তান। ছোটোবেলা থেকেই ভীষণ ম্যাচিওর। সেও বাবার মতো ইঞ্জিনিয়ার। হবেই বা না কেন বাবাই তো তার আইডল। আচ্ছা জীবনে কেউ কী তাকে বুঝতে চেয়েছে। ওর আয়নায় নিজেকে দেখতে চেয়েছে। না বাবান না বিকাশ। হাজবেন্ডের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম ছেলেও তো একবার খোঁজ নিতে পারে! আগে তাও বছরে একবার মার কাছে আসতো। শেষ পাঁচ বছরে সে রেওয়াজেও ছেদ পড়েছে। হোয়াটসআপ কলে কথা হয়, সে তো নিছক কর্তব্য। নাতনীর সঙ্গে সপ্তাহে একদিন ভিডিও কলিং ওই পর্যন্তই। সবটাই একটা ফর্মালিটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্পর্কগুলো ইদানিং কেমন যেন অচেনা লাগে। চেনা মানুষগুলোকে মনে হয় ভিন গ্রহের জীব। শেষ পর্যন্ত হয়তো এটাই জীবনের নিয়ম। কোনও সমীকরণ মিলতে চায় না। আসলে প্রত্যেকটা মানুষই হয়তো একা, ভিড়ের মাঝেও একা। শোভনাও তো এই বয়সে ঘরে বসে নেই। সে যে বাহাত্তর কে বলবে। এখনও সব দিক থেকেই প্রচণ্ড একটিভ। মাঝে মাঝে পুরোনো স্টুডেন্টরা আসে। এছাড়া উইকেন্ডে বিভিন্ন কালচারাল অনুষ্ঠান তো লেগেই থাকে। তার ওপর একটা এনজিও। বিগত পাঁচ বছর ধরে এটাই শোভনার বেঁচে থাকার অক্সিজেন। নির্যাতিত মেয়েদের ওপর কাজ করে ওরা। ভালো লাগে এই সব মেয়েদের সাথে সময় কাটাতে, ওদের মোটিভেট করতে। একটা আলাদাই সুকুন আছে এই কাজটাতে। শেষ বয়সে এসে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চায় ও। এই মেয়েগুলোর মাঝে কোথাও যেন নিজেকেই খুঁজে পায় শোভনা। ওদের স্টাগেলের মাঝে কোথাও যেন নিজের কষ্টগুলো ম্লান হয়ে যায়। যতটা সম্ভব মেয়েগুলোকে পজিটিভ এনার্জি দেবার চেষ্টা করে। ওই যে বলে জীবন বড়ো অদ্ভুত, কখনও কখনও নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। একটা সার্কেল, একটা অপ্রাপ্তি তাড়া করে বেড়ায় প্রতি মুহূর্তে। সব পেয়েও নিজেকে নিঃস্ব মনে হয়। আর এই না পাওয়াগুলোর মধ্যে থেকেই শুরু হয় জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, ওর গল্পটাও অনেকটা সেই রকম। আজকাল আর খারাপ লাগে না। হয়তো এটাই অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে। ঠিক যেমন একটা সময় পর আমরা মেনে নিতে শিখি, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটা সহনশীল দরজা আছে। নিজের না পাওয়াগুলো আজকাল বড়ো ছোটো মনে হয়। বুকে একটার পর একটা ঢেউ ভাঙতে থাকে। একা একা হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে। দূরে, বহু দূরে।
চার।
আজ আর ঘুম এলো না। সারারাত বিছানায় এপাশ থেকে ওপাশ। ছোটোবেলা থেকে সব কিছু চোখের সামনে। সিনেমার মতো। মা-বাবা বন্ধু-বান্ধব বিকাশ-বাবান কলেজে পড়ানোর দিনগুলো সব একের পর এক। বিছানায় চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকে শোভনা। খুব একা লাগে। মুহূর্তের চোখে মিশে যেতে চায় মুহূর্তরা। আনমনে একটা সিগারেট ধরায়, বিছানা থেকে উঠে বসে। ঘড়ির দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না। এখনও আলো ফুটতে অনেক দেরি। কাঁপা কাঁপা পায়ে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ায়। মনে হয় চাঁদটা যেন ওকে দেখে হাসছে, কিছু বলতে চাইছে। হাওয়াকে ছুঁয়ে দেখতে চায় শোভনা। মনে পড়ে বাড়ির কাজের দিদির কথা। বয়সে প্রায় সমবয়সি। নাম লক্ষ্মী। এই তো দুদিন আগে তাকে হাসপাতালে এডমিট হতে হয়েছে, মাইনর হার্ট এটাক। লক্ষ্মীর ছেলে যাকে এতদিন শোভনা অমানুষ, জাস্ট একটা পাড় মাতাল ছাড়া কিছুই ভাবতো না সেই ছেলেই কিনা আজ তার মাকে হসপিটালে ভর্তি করেছে, রাত জেগে সেবা করছে। শোভনার তো কোনো অভাব নেই। ওর সোনার টুকরো ওয়েল এস্টাব্লিশ ছেলে। জীবনে সেটেলড। ফ্লোরিডা থাকে। লোককে বলতে ভালো লাগে, কিন্তু আসলে কি বাবানের কোনো একজিস্টেন্স আছে ওর জীবনে! এসব ভাবলে ভয় করে। গা ঠান্ডা হয়ে আসে। যে ছেলে পাঁচ বছরে একবার আসতে পারে না সে কি মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েও আসবে? বাস্তব বড়ো কঠিন। নিজের মনেই উত্তর সাজায় শোভনা। বিকাশ, সে তো একবার ফোন করতে পারে। পারে না কি খোঁজ নিতে। অপেক্ষা করতে করতে ইমোশনগুলো আজকাল পাথর হয়ে গেছে। কারো কাছ থেকে আর কোনও এক্সপেকটেশন নেই। না পাওয়ার আছে না হারাবার। তাহলে কীসের ভয় শোভনার। উত্তর খুঁজে পায় না। নিজের ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে। লক্ষ্মীরাই বোধ হয় অনেক সুখী। অন্তত স্বামী সংসার ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি…সে ও তো এরকমই একটা সাধারণ জীবন চেয়েছিলো। একটা গোছানো সংসার। খুব অসহায় লাগে। টেবিল থেকে মোবাইলটা হাতে নেয়। এখন ভোর পাঁচটা। পূর্ব আকাশে লাল আভা। পাখিরা যে যার মতো ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছে। আবার একটা নতুন দিন। দিন শেষ হলেই আবার একটা নেভার এন্ডিং রাত। শেষ বারের মতো একবার বিকাশের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে বাবানকে বুকে জড়িয়ে নিতে। আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় শোভনা। এই প্রথম একজন বাহাত্তর বছর, নিজের মধ্যে নিজেকেই খুঁজে দেখে। এখনও কিছুটা সময় বাকি, নিভে যাবার আগে অন্তত একবার…
পাঁচ।
আজ মহালয়া। লক্ষ্মীও ছুটি নিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে নিজের জন্য এক কাপ চা। ব্যালকনিতে বসে শহরটাকে দেখে শোভনা। একটা নস্টালজিয়া। মহালয়া মানে এখনও রেডিও। মনে পড়ে বাবানের ছোটবেলার কথা। গান খুব ভালোবাসতো বাবান। এই মহালয়ার দিনেই মার পাশে শুয়ে সেই যে প্রশ্নগুলো…ভালো লাগে, ভাবতে ভালো লাগে। স্মৃতি ঘাঁটতে ঘাঁটতে বেরিয়ে আসে কত কিছু। কখন আনমনেই আলমারির সামনে এসে দাঁড়ায় শোভনা। বাবানের ছোটো বেলার জামাগুলো উলটে পালটে ছুঁয়ে দেখে। আলমারির সেই কোনটায় হাত চলে যায়। কয়েকটা পুরোনো চিঠি। মনে হয় সময় থেমে গেছে। এই তো সেদিনের কথা। তখন সবে কলেজে জয়েন করেছে। বিয়ের ঠিক পর পর। মনে আছে সেই চোখ, সেই মুগ্ধতা। কেউ যে এভাবে তাকে নিয়ে কবিতা লিখতে পারে স্বপ্নেও ভাবেনি শোভনা। প্রেম প্রস্তাব যে দু’চারটে পায়নি তা নয় কিন্তু এভাবে কেউ কোনোদিন…আজ এত বছর পর আবার সেই লাইনগুলো। ফ্ল্যাশব্যাক। নিজে নিজেই আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায়। একটা অদ্ভুত ভালোলাগা। সেই চোখ, সেই মুগ্ধতা, সেই ছেলেটা। না, আজ আর কোনও ভয় নেই। এইটুকু ভালোলাগা শুধু তার নিজের…
ছবি- ইন্টারনেট