বাহারি গোঁফের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠল জার্মান
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- “গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা ।”
সুকুমার রায়ের সেই বিখ্যাত ‘গোঁফ চুরি’ কবিতাটি নিশ্চয়ই পড়েছেন। তবে দাড়ি-গোঁফওয়ালাদের প্রতিযোগিতাও হয় এই বিশ্বে। অনেকেই আছেন যারা দাড়ি-গোঁফ সেরকমভাবে রাখেন না। কিছুটা উদ্ভট উপায়ে প্রদর্শনই করাটাই তাদের বেশি পছন্দ। এখানে কেউ বলবে শখ, কেউ বলবে নেশা আবার কেউ হয়তো বলবে পাগলামি। তবে বিশ্বজুড়ে এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও কোটি কোটি মানুষের মাঝখানে তাদের আলাদা করে চেনা যায়। এরকম মানুষদের নিয়েই জার্মানির সাউথ বাভারিয়ানে হয়ে গেল ব্যতিক্রমী এক প্রতিযোগিতা।
এবিসি নিউজের মাধ্যমে জানা গেল,জার্মানিতে আয়োজিত বার্ষিক এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শহর থেকে আসা কয়েক’শ মানুষ। যারা নানান কায়দায় নিজেদের দাড়ি-গোঁফ পাকিয়ে শামিল হয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়।
এখানে দেখা যায়, বিভিন্ন অংশগ্রহণকারীদের কারওর গোঁফ সূচালো, কারওর আবার চন্দ্রাকৃতির, কেউ আবার গোঁফ পাকিয়েছেন ঊর্ধ্বমুখী করে। বাহারি নকশার গোঁফেরও দেওয়া আছে বাহারি নাম। ইংলিশ, শেভরণ, ডালি, পিরামিড কিংবা হর্স স্যু আকৃতির গোঁফ কিন্তু সবার নজর কেড়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় সেরা তিন গোঁফওয়ালা নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯০ সালে জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট এলাকায় প্রথম চালু হয় এই প্রতিযোগিতা। বর্তমানে প্রতি ২ বছর পরপর আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা।