জানেন কি ইলিশ মাছ কত রোগের ওষুধ!

হ্যাঁ বাঙালির পাতে বর্ষা এলেই ইলিশ না হলে হয় না। ইলিশ মাছের এই, ইলিশ মাছের ওই। ইলিশ এমন একটি মাছ যা পছন্দের তালিকায় রাখেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তবে শুধু তাই নয়, ইলিশ মাছ পুষ্টিগুণেও ভরপুর। যা অন্য যেকোনো মাছকে সহজেই হার মানাতে পারে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ এই ইলিশ হাজারো রোগেরই প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। যা অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নিই তাহলে-

  1. ভিটামিন এ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে৷
  2. ইলিশে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এই উপাদানটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাধারণ সর্দি বা কাঁশি থেকে বাঁচাতেও ইলিশের অবদান আছে।
  3. ইলিশ মাছ পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। পেটের আলসার ও কোলাইটিস প্রতিরোধে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মহৌষধের ভূমিকা পালন করে।
  4. ইলিশে থাকা পলি-আনস্যাচুরেটেড ও মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড মূলত ডিমেনশিয়া, পার্কিনসনস বা অ্যালঝাইমার্সের মতো স্নায়ুরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  5. ইলিশকে অনেকে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের পাওয়ার হাউজ বলেও আখ্যা দেয়। ইলিশ মূলত জিংক, প্রোটিন, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি উপাদানে ভরপুর।
  6. সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের সুস্থতায় ব্যাপক অবদান রাখে। ইলিশেরও শিশুদের হাঁপানি সারানোর ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষত যাদের ফুসফুসের রোগ রয়েছে তাদের সপ্তাহে অন্তত একবার ইলিশ খাওয়া উচিত।
  7. ইলিশে আর্জিনিন নামে একটি অ্যামিনো এসিড রয়েছে। এই উপাদানটি প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া আর্জিনিন মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজ-অর্ডার প্রতিরোধ কার্যকর। নিয়মিত ইলিশ খেলে ডিপ্রেশনও কমতে পারে।
  8. আর্থ্রাইটিস রোধে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের অবদান আছে। মূলত ইমিউন মডুলেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে তারা প্রদাহের লিপিড মধ্যস্থতাকারীর অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। এই উপাদানটি প্রদাহজনক রিয়েকশনকে নিয়ন্ত্রণ করে বাতের ব্যথা সারাতে পারে। বাতের রোগীরা ইলিশ খেলে নানাভাবে উপকৃত হতে পারেন।
  9. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ত্বকের অতিবেগুনী রশ্মি প্রতিহত করার ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া অ্যাকজিমা কিংবা সোরিয়াস থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়া ইলিশে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন পাওয়া যায়। এই শক্ত, অদ্রবণীয় ও তন্তুযুক্ত প্রোটিন ত্বককে স্থিতিস্থাপকতা ও শক্তি প্রদান করে। ফলে ত্বক টানটান ও কোমল হয়ে ওঠে। এমনকি আপনার ত্বকের বয়স বাড়তে দেয়না।
  10. জিংক সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইলিশে জিংকের পাশাপাশি ক্রোমিয়াম ও সেলেনিয়ামের প্রাধান্য আছে। এই উপাদানগুলো ইমিউন সিস্টেমকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা প্রদান করে।
  11. গর্ভাবস্থায় জিংক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গর্ভাবস্থা, শৈশব, এবং সঠিক শারীরিক বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে জিংক প্রয়োজন। সেলেনিয়াম দেহে বিশেষ ধরণের প্রোটিন অর্থাৎ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে। এমনকি কোষের ক্ষয়রোধে এই এনজাইম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইলিশ মাছ যা পূরণ করে।

ছবি- গুগল

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page