দোলের দিন আনন্দ করুন, তবে এই কাজগুলি একদম নয়
আর একদিন বাদেই হোলি। প্ল্যানিং আছে নিশ্চয়ই। কোন পোশাক পরবেন, কী কী রং কিনবেন। কীভাবে ত্বকের চর্চা করবেন এই সব প্ল্যানই হচ্ছে? দোলের দিন আনন্দ করবেন সেটাই স্বাভাবিক। দোলের দিন আনন্দ করুন, সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করুন। খুব ভাল কাটুক, তবে খেয়াল রাখবেন আপনার দোলের আনন্দ যেন অন্য কারও দুঃখের কারণ না হয়ে যায়। এইরকম কথা কেন বলছি কারণ, দোলের দিন আমরা এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যেগুলো করা একদম উচিত নয়। একবার জেনে নিই কি সেগুলো-
- জোর করে রং মাখাবেন না– আপনি ও আপনার অন্যান্য বন্ধুরাও রং খেলতে ভালবাসেন। আপনারা একে অপরকে যত ইচ্ছে রং দিন, রং মাখান। কিন্তু আপনার যে পরিচিত মানুষ রং খেলতে চান না, তাঁর ইচ্ছেকেও সম্মান করুন। তবে ‘দোলের দিন তো এমন করাই যায়’ বলে তাঁকে একদম রং মাখাবেন না একদম। এতে আপনার আনন্দ হলেও তাঁর কিন্তু খারাপ লাগবে।
- অচেনা কাউকে সম্মতি না নিয়ে রং নয়– দোলের দিন সবাই হঠাৎই বেরিয়ে পড়তে চান না। কারণ, দোলের দিন রাস্তায় সবাই সবাইকে রং দিয়ে থাকেন। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যাঁরা দোলের দিন কোনও প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ি থেকে বের হন। আপনি তাঁর গায়ে রং দিয়ে দিলেন, এতে কি তাঁর ভাল হল? এটা ভাবুন আর খুশির রং অবশ্যই ছড়ান, তবে সম্মতি নিয়ে।
- রাস্তার জীবটির গায়ে রং নয়– নতুন করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই এ কথাটি। রাস্তার পশুরা তো আর নিজে নিজে রং মাখতে পারে না। কিন্তু দোলের পরের দিন তাদের গায়েও রং। কিন্তু কেন? কারণ, এই আমরাই আনন্দ করতে করতে তাঁদের গায়েও একটু রং দিয়ে দিই। তারা কত ভয় পেয়ে যায় সেই কথা ভেবে দেখেছেন? তাই রং খেলুন নিজেদের মধ্যে। পশুকে ভয় দেখিয়ে তার গায়ে রং মাখিয়ে দেবেন না।
- রাস্তার ধারে বাড়ি বলেই দেওয়ালে রং একদম নয়– মানুষ রাস্তার ধারে বাড়ি করবেন না তাহলে? কখনওই রাস্তার ধারে বাড়ির গায়ে রং দেবেন না। রং খেলুন নিজেদের মধ্যে। শুধু শুধু বাড়িগুলোকে জড়াচ্ছেন কেন।
- মত্ত হলেও নিয়ন্ত্রণ থাক- দোলের দিন অনেকেই মাদক দ্রব্য গ্রহণ করেন। এতে কোনও ক্ষতি নেই। তবে আপনি মত্ত হলেও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। মত্ত হয়ে অন্যকে আঘাত করবেন না। বা এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে অন্যের অসুবিধা হয়।
দোলের দিন ভাল কাটুক, আনন্দে কাটুক। “হ্যাপি হোলি”…উত্তরে জানিয়ে দিন, “ হ্যাপি হলাম”। রং হোক আনন্দের, খুশির।