কবিতা।। ভালোবাসার ক্ষত।। ভজন দত্ত
প্রতিটি ক্ষতের নাম ও ঠিকানা টুকে রাখে হিজিবিজির খাতা
গায়ের চামড়া সরিয়ে দেখে দাগ নম্বর,পড়ে নেয় কাঁপা-কাঁপি অক্ষর
আকাশের গা থেকে খাবলাখাবলা শান্ত মেঘ তুলে প্রলেপ দিলেও
দগদগে তাকানো ঘুমুতে দেয় না,শরীরের ভেতর বেড়ে ওঠা
পরজীবি অর্কিড-ক্ষতের শিকড়ে বিদ্ধ হতে হতে
ভীষণ ভীষণ বাঁচার ইচ্ছেকুঁড়ি দোমড়ানো মোচড়ানো অনুভবের
সঙ্গে রোজ কথা বলে
জীবনের সরগম পলাশ হয়ে ফুটলেও
ঝরে যায় সব অবেলার অকাল বর্ষণে
আজকাল আগুন ছাড়া আর কিছুই গুনগুন নেই
স্বপ্নের ভেতর আমার দেশ আমাদের সংসার
এমনকি ‘তাহার’ সাথে যত কথা
সবকিছুর ভেতরেই মণিকর্ণিকা ঢুকে যায়
ভালোবাসার ময়দানে এতএত কলিং বেল
বাজালেই ট্রাফিক পুলিশের হারিয়ে যাওয়া
বাঁশি বেজে ওঠে,হৃদয়ে দাবানলের দামামা বাজে,
রক্তকণিকা গলে যাচ্ছে,
হিমোগ্লোবিন শূন্যের ঘর ধরতে চাইছে,
ঘাতকদের অট্টহাসি মুখরিত আকাশে
তবুও জ্বলজ্বল করে সব্বোনাশী চাঁদ
আওয়াজের পাখোয়াজি কেতায়
পাথরের চোখ একবার
যদি একবার সত্যি সত্যি দেখতে পায়
তবে বুঝি পৃথিবীতে এখনো আছে ভালোবাসাবাসি…