কখনও বিশেষ কোনও খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করছে? আপনার শরীর কেমন আছে জানান দেবে এটি
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- আমাদের কখনো কখনো খিদে পায় না, কিছু খেতে ইচ্ছে করে না বা খাবার রুচি থাকে না। মাঝেমধ্যে অনেকেই এরকম সমস্যার কথা বলেন। সাধারণ জ্বর, সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় খাবারের রুচিও কমে যায়। তবে আপাত এই ছোট সমস্যাটিই হতে পারে বড়ো কোনো রোগের লক্ষণ।
আবার কখনও কখনও এমনটাও হয় যে কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করছে। কারোর টক, কারোর মিষ্টি, কারোর আবার ঝাল খাবার খেতে ইচ্ছে করে। খাবারের ইচ্ছে আসলে নির্ভর করে আমাদের শরীরের উপর। তবে প্রতিটা বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে আমাদের শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। আর সেজন্যেই কোনও অঙ্গে এনার্জির অভাব বা অতিরিক্ত এনার্জির কারণেই বিশেষ স্বাদ চায় জিভ। আসুন তবে জেনে নিই-
যখন তেতো খেতে ইচ্ছে করবে
তবে তেতো খাওয়ার ইচ্ছে সাধারণত কমই হয় আমাদের। কারণ তেতো খাবারের সঙ্গে হার্ট সুস্থ থাকার সরাসরি যোগ রয়েছে। আর শরীর যদি অতিরিক্ত গরম হয়ে ওঠে তা হলে আমাদের তেতো খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তেতো খাবার শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। শরীরে এনার্জির ফ্লো স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। যখন তেতো খেতে ইচ্ছে করবে বুঝতে হবে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছে।
যখন মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে
মিষ্টি দেখলেই যদি খেতে ইচ্ছে হয় তা হলে আপনার হজমের সমস্যা, ওজন বাড়়ার সমস্যা, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা হতে পারে। নুনের মতোই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে মিষ্টি খেলেই পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে। মূলত, মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল চলাকালীন ও কোনও কারণে স্ট্রেস হলেই বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয়।
যখন টক খেতে ইচ্ছে করবে
লিভারের কার্যকারিতার উপর আমাদের মনের ভালো থাকা, খারাপ থাকা নির্ভর করে। যদি লিভারে এনার্জির ভারসাম্য নষ্ট হয় তা হলে টক খেতে ইচ্ছে হবে। লিভারে এনার্জি ফ্লো ঠিকঠাক না হলে ভাজা, তৈলাক্ত, ফ্যাটি খাবার খেতেও ইচ্ছে করে।এর কারণ শরীর বলছে, এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হয়েছে। লিভারে এনার্জি ফ্লো ঠিকঠাক না হলে অনিয়মিত মেনস্ট্রুয়াল, অবসাদ, মাইগ্রেন, পেশীর সমস্যা হতে পারে।
যখন নোনতা খেতে ইচ্ছে করবে
নোনতা খাবারের প্রতি ঝোঁক বেশি হলে কিন্তু পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। কিডনিতে যদি এনার্জি ব্লকেজ তৈরি হয় তা হলে শরীরে ওয়াটার এনার্জির ভারসাম্য নষ্ট হয়। সেই কারণে আমাদের নোনতা খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয়। অনেকে মনে করেন কিছু খেতে ইচ্ছে হচ্ছে মানে সেই খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজন। কিন্তু সেটা সব সময় সত্যি নয়। আমাদের কিডনির স্বাস্থ্য নির্ভর করে বংশগত জিনের উপর। কিডনির সমস্যা থেকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যখন ঝাল খেতে ইচ্ছে করবে
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে জরুরি হল ফুসফুস। শরীরে প্যাথোজেন আক্রমণ করলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। সেখানে ফুসফুস প্যাথোজেনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ঝাল খাবার প্যাথোজেন রুখে দিতে পারে। ঝাল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।তাই যখনই ঝাল খেতে ইচ্ছে করবে বুঝবেন আপনার শরীর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে চাইছে।