মৃণাল সেনের সৃষ্টি এবার উন্মুক্ত হল শিকাগোয়
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- কল্লোলিনী কলকাতার উপর ছিল একরাশ ক্ষোভ। বাবা মৃণাল সেনের সৃষ্টিকে সংরক্ষণের পরিকাঠামোর অভাবই ফুটে উঠেছিল কুণাল সেনের মুখে। জানিয়েছিলেন শিকাগোয় বাবার সমস্ত কাজের সংরক্ষণের কাজ শুরুর কথা। এবার জানালেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃণাল সেনের যাবতীয় কাজ সংরক্ষণের কাজ শেষ। নতুন গবেষকরা যারা পরিচালকের কাজ নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খোলা।
এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও করেছেন কুণাল সেন। তবে আপসোস রয়েই গিয়েছে। তিনি লিখছেন, ‘খারাপ লাগছে বাবার অনেক প্রয়োজনীয় নথিপত্র সেখানে নেই, কারণ তিনি আগেই সেগুলো নষ্ট করে দিয়েছেন। তবে যা রয়েছে সেগুলি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাজে লাগবে।”
দেশে সংরক্ষণের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল। বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের চরিত্রেই নেই সংরক্ষণের গুরুত্ব। আমরা পুরনো জিনিসকে পুরনো হিসেবেই দেখি।এর কদর করতে জানি না’। ‘মহাপৃথিবী’, ‘আকাশ কুসুম’, ‘ভুবন সোম’ ‘ইন্টারভিউ’, ‘কলকাতা ৭১’, ‘পদাতিক’—‘কলকাতা ট্রিলজি’র স্রষ্টা মৃণাল সেন ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর চলে গিয়েছিলেন না-ফেরার দেশে। কলকাতা শহর ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে তিনি শান্তি পেতেন না। ছেলে কুণালের কাছে শিকাগোতেও না। সেই মৃণাল সেনের অস্তিত্ব রক্ষা করছে এক অন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়– এটা কি ভাববার বিষয় নয়? বাঙালির মনে কি এ নিয়ে প্রশ্ন জাগবে না?