উপন্যাস।। কমরেড নয়ন।। সৌপ্তিক চক্রবর্তী
হারুদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশেই নিত্যর দোকান থেকে একটা কম পাওয়ারের বাল্ব কিনে নয়ন পার্টি অফিসের দিকে হাঁটা দিল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে থাকলঃ ঠিকই তো! তাদের জামানায় এমন ফি বছর কোনো না কোনো মন্ত্রী কিংবা হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে কোর্ট-কাছারি হত না। কেন্দ্রে কোনো কালেই তাদের সরকার ছিল না। আর সিবিআই তখনও ছিল। যাক গে, হারুদার ছেলেটার চাকরিটা যেন হয়ে যায়। সেই কবের থেকে বেচারা কি পরিশ্রমটাই না করে যাচ্ছে!
পার্টি অফিসের দিকে এগোতে এগোতেই নয়ন দেখল সুজয় তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ন্যাড়ার দোকানে চা খাচ্ছে। সুজয় এপাড়ারই ছেলে। বরাবর অ্যান্টি-সিপিএম। মোড়ের মাথায় ওদের একটা ক্লাব আছে নেতাজী সঙ্ঘ। সুজয় তার সেক্রেটারী। আজ সেখানে রক্তদান শিবির। গমগম করে মাইকে তার ঘোষণা শোনা যাচ্ছে।
পার্টি অফিসে ঢুকে দেখল রথীন মিত্রও এসে পড়েছে। মঝারি সাইজের একটা ফ্লাক্স নিয়ে নয়ন ন্যাড়ার দোকানে চা নিতে এল।
‘কি নয়ন দা কেমন আছ?’ হাসিমুখে সুজয় জিজ্ঞেস করল।
ভালই রে, তুই কেমন? নেহাত সৌজন্য করেই নয়নের উত্তর ও প্রশ্ন। এমনিতে নিজে থেকে সে সুজয়ের সাথে কথা বলে না। যদিও সুজয়ের বাড়িটা তাদের বাড়ির উল্টোদিকে তিনটে বাড়ি পরেই।
‘এই চলে যাচ্ছে’ সুজয়ের উত্তরের মাঝখানেই নেতাজী সঙ্ঘ থেকে মাইকে ঘোষণা শোনা গেলঃ আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, এই মাত্র আমাদের মধ্যে উপস্তিত হলেন মাননীয় পুরপ্রধান শ্রী প্রদীপ আইচ মহাশয়। বলাইবাহুল্য প্রদীপ আইচ তৃণমূল নেতা। পুরবোর্ড তাদেরই দখলে।
‘এ্ চ চ, প্রদীপদা এসে পড়েছ’ বলে সুজয় এক চুমুকে তলানি চা শেষ করে ভাঁড়টা ফেলে হন্তদন্ত হয়ে ক্লাবের দিকে এগোল। পিছু পিছু তার সাঙ্গপাঙ্গ।
নয়নের ফ্লাক্সেও ততক্ষণে ন্যাড়া লিকার ঢেলে দিয়েছে। তিনটে ভাঁড় আর চাভর্তি ফ্লাক্স নিয়ে সে পার্টি অফিসে ফিরে এল। মিহিরদা আর রথীনদাকে চা দিয়ে নিজেরটা নিয়ে গণশক্তিতে ডুবে গেল।
নব্বই দশকের শেষে তাদের লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী জিতে যায়। তার আগে তিনটে টার্ম তাদের দখলেই ছিল। তৃণমূল পার্টি তখন সবে সবে হয়েছে। সাপোর্টও দিয়েছে বিজেপিকে। যাইহোক, সেই সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়। তারই হাত ধরে সুজয়দের উত্থান। এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। তবে এটা ঠিক সুজয়রা অনড়ভাবে জমি কামড়ে পড়ে ছিল দশ-বারোটা বছর। মানে নয়নদের জামানার শেষটুকু ধরে। ওদের আসল শক্তিটা ছিল এবং হল সংগঠন। সব সময় যে কোনো ব্যাপারে কুড়ি-তিরিশটা ছেলে এককাট্টা হয়ে যেত। শুধু এপাড়া নয়, পাড়া ছাড়িয়ে অঞ্চল, পাশের অঞ্চল এইসব জুড়ে ছিল সেইসব ছেলেদের বাস। আজও মোটামুটি তাই। অনেক চেপে দিয়েও তাই সুজয় কিংবা তার ক্লাবকে রোখা যায়নি। আর আজ তো ওদেরই জামানা। তবে সুজয় এবং ক্লাবের অন্য মাথারা কেউই সক্রিয় রাজনীতি মানে নয়নের ভাষায় কোনো পার্টি করে না। তৃণমুল সমর্থক বলা চলে। কিছু কাজও করেছে। যেমন একটা খাওয়ার জলের কল আর একটা অ্যাম্বুলেন্স। ফি বছর তেইশে জানুয়ারী বিশাল র্যালি করে আর ক্লাবের পেছনে ছোট্ট জমিতে করে দুর্গাপুজো। পাড়ার সার্বজনীন পুজো ছাড়া ওটাই আর একমাত্র পুজো। সুজয়দের ক্ষমতা আছে। পুজোয় সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা সব আনগোনা করে। নয়ন শুনেছে তৃণমূলের তরফে অন্যান্য ক্লাবের মত নেতাজী সঙ্ঘকেও দুলক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
তিন
আজ মেঘনা একটু আগে এসে পড়েছে। বিকেল তখন চারটে হবে। নয়ন গড়িয়ে উঠে চোখ-মুখ ধুয়ে সবে বাথরুম থেকে বেরিয়েছে। রোজই দুপুর একটা-দেড়টায় পার্টি অফিস বন্ধ করে বাড়ি ফিরে স্নান-খাওয়া সেরে বই পড়তে নয়ন ঘন্টাখানেক গড়িয়ে নেয়।
ওপরে নুপুরবৌদি ভাতঘুম দিচ্ছে। সেই সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তুলি কলেজ থেকে ফিরলে তখন উঠবে। তারপর চা বসাবে। তারপর টানা আটটা অব্ধি পরপর সিরিয়াল দেখবে। আটটায় টিংকু অফিস থেকে ফিরলে আর এক রাউন্ড চা। তারপর রান্নাবান্না। পৌনে দশটা-দশটা নাগাদ নুপুরবৌদি তার খাবারটা বেড়ে তার ঘরে টেবিলে ঢাকা দিয়ে রেখে নিজেদেরটা নিয়ে ওপরে চলে যায়।
নয়ন কে দেখে মেঘনা বললঃ চল, নয়নদা আজ তোমার ঘরটা দেখব।
নয়ন খুশি মনে তাকে ঘরে নিয়ে এসে খাটে বসাল। নিজে জানলার সামনে দাড়াল। বিকেলের এই রোদটা তার দারুন প্রিয়। মেঘনা ঘরের এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল। আড়ম্বরহীন ঘর। সেটাই স্বাভাবিক। খাট ছাড়া খাটের পাশে একটা পুরনো কাঠের টুল, একটা স্টিলের আলমারি, একটা লোহার ট্রাঙ্ক, একটা কাঠের টেবিল আর তার সামনে একটা হাতল ছাড়া কাঠের চেয়ার। টুলের ওপর একটা জলের বোতল আর টেবিলের ওপর একটা মাঝারি সাইজের খাতা, বলপেন, হাতঘড়ি আর একপাশে এলোমেলো করে রাখা খানকয়েক বই (পুস্তিকা বলাই ভাল)। দেওয়ালে টাঙানো বহু পুরোনো একটা ফুল সাইজ আয়না যার জায়গায় জায়গায় ঘষটে গেছে।
মেঘনা সুপ্রিয়দের নাটকের দলে মাসখানেক হল ঢুকেছে। এমনিতে সুপ্রিয়র বউ, অর্পিতা ছাড়াও বিদিষা বলে আর একটা মেয়ে আছে ওদের গ্রুপে। আর আছে দুটো ছেলে। ডিরেকশনের পাশাপাশি তিন নম্বর মেল রোলটা করে সুপ্রিয়। এবারের নাটকে আরও একটা ফিমেল রোল থাকায় মেঘনাকে ওরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিদিষার সুত্রে যোগাযোগ।
মেঘনার বয়স তিরিশের কাছাকাছি। লম্বা, মেদহীন, টানটান চেহারায় একটা দৃপ্তভঙ্গী আর ক্ষিপ্রতা স্পষ্ট। তামাটে রঙের ওপর লাল-কালোয় বাঁবাহুতে একটা ট্যাটু করা। আগে কথায়-আড্ডায় নয়ন জেনেছে মেঘনা যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছে আর অভিনয়টা শখ। সুপ্রিয়রা মূলত বামপন্থী নাটক করে। রিহার্সালের দিনগুলোতে সন্ধে পৌনে ছটা পর্যন্ত নয়ন ওদের সাথেই আড্ডা মারে আর রিহার্সাল দেখে। তারপর চা খেয়ে বেরিয়ে যায় পার্টি অফিস খুলতে।
মেঘনাকে দেখে নয়নের মধ্যে যে একটা উত্তেজনা কাজ করেনি তা বললে মিথ্যা বলা হবে। বলা ভাল আগে অন্যান্য বারের অনেক উত্তেজনার মতোই নয়ন তা গিলে নিয়েছে। নয়নের ভাবনায় অবশ্য এই গিলে নেওয়া হল উত্তেজনাকে পাত্তা-প্রশ্রয় না দেওয়া এবং অন্য কোনো এনগেজমেন্ট থেকে সদা বিরত থাকা।
দু-একটা কথা, নয়নের ‘চা খাবে নাকি?’ আর প্রত্তুতরে মেঘনার ‘না’-এর পর কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ মেরে যায়। তারপর মেঘনা হঠাৎ উঠে নয়নের এত কাছাকাছি এসে দাঁড়াল যে নয়ন অস্বস্তি আর উত্তেজনার মাঝখানে পড়ে গেল। তবে কয়েক লহমাই মাত্র। তার মাথার পেছনটা আলতো করে ধরে মেঘনা তার মুখটা টেনে ঝুঁকিয়ে নিল। ঘোর লাগা নয়ন বুঝতে পারল তার ঠোঁটে মেঘনার নরম আর ভেজা ঠোঁট দুটো, তারপর মুখের ভেতর, জিভের সাথে জিভ, দ্রুত শ্বাস পড়ার শব্দ ইত্যাদি। মেঘনার শরীরের গন্ধে বুঁদ নয়ন একটা অচেনা শিরশিরে অনুভুতির শিকার হয়ে ঠোঁটে-ঠোঁট আর জিভে-জিভ রেখে দাঁড়িয়ে থাকল যতক্ষণ না মেঘনা তাকে ছেড়ে দিল।
নয়ন ততক্ষণে কেমন বিভোর হয়ে গেছে যেমন নেশায় ধুর হয়ে যায় মানুষ। সে মন্ত্রমুগ্ধর মতো দাঁড়িয়ে থাকল। তবে আবারও কয়েক লহমাই মাত্র। মেঘনা হাঁটুমুড়ে বসে নয়নের পায়জামার দড়ির ফাঁসটা একটানে খুলে দিল। টুপ করে সেটা পায়ে লোটাতে লোটাতেই মুখে ভরে নিল তারটা। নয়ন এক আশ্চর্য আরাম আর তীব্র উত্তেজনায় জীবনে প্রথমবার চুর হয়ে গেল। মৃদু মৃদু শীৎকার করতে থাকল সে। এবারে অবশ্য কয়েক লহমার খানিক বেশিই। তারপর অনভিজ্ঞ নয়ন ফিসফিসিয়ে ‘এবার বেরিয়ে যাবে, বেরিয়ে যাবে’ বলতে বলতে বার করে আনল। আনতে আনতেই ফিনকি দিয়ে রক্ত ছেটার মতো তার বীর্য।
এই আকস্মিক ও প্রথম যৌনঅভিজ্ঞতায় নয়ন ফ্যালফ্যাল চোখে-মুখে স্থবির ও তৃপ্ত দাঁড়িয়ে ছিল। মেঘনা উঠে দাঁড়াতেই হুঁশ ফিরে চুপচাপ পায়জামাটা পরে নিল। ভ্যানিটি ব্যাগটা নিয়ে মেঘনা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। বেরতে বেরতে নয়নের বাহুতে আলতো আদরের একটা চাপড় মেরে গেল।
খোলা দরজাটার দিকে তাকিয়ে পাশের ঘরের তালা খোলার শব্দ শুনতে শুনতে নয়নের মনে হল পাষাণ রাম বসে ছিল সে এতকাল আর আজ জ্যান্ত অহল্যা এসে ছুঁয়ে গেল তাকে! নবজন্ম হল তার।
চার
সন্ধে সাড়ে ছটা হবে। পার্টি অফিসে গত পুরভোটে হারের কারণ খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছে রথীন মিত্র আর মিহিরদা। বলা ভাল পুনরালোচনা করছে। কারণ আগেও বেশ কয়েকবার এই আলোচনা হয়ে গেছে। প্রতিবারের মতোই নয়ন এবারেও মনযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মুড়িমাখা চিবোতে চিবোতে। প্রত্যেক সন্ধেয় সুবলের দোকানের মুড়িমাখাই হল তার স্ন্যাক্স। বিশুও আছে আজ।
তবে থেকে থকেই বিকেলের সেই চরম উত্তেজনা আর তৃপ্তি মনে পড়ে যাচ্ছে। শিহরিত হয়ে উঠছে। এখনও যেন মেঘনার শরীরের গন্ধটা টের পাচ্ছে। সত্যিই পঞ্চাশে এসে যৌনতার পয়লা ধাপে দাঁড়িয়ে সে ভেতরে ভেতরে ঠিক তেমনই টগবগ করছে যেমনটা সেই কলেজের লালরঙা উদ্দাম দিনরাতগুলোতে করত। পার্টি অফিসে বসে হাফ মনযোগ দিয়ে রথীন মিত্রর আর মিহিরদার আলোচনা শুনতে শুনতে তার তেমনই মনে হতে থাকল।
আসলে কিছুদিন হল ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মলয় লাহিড়ি, মারা গেছে। হঠাৎ হার্ট আ্যটাকে। তো বাই-ইলেকশন হবে। যদিও এখনও দিন ঠিক হয়নি। মনে হয় না রথীন মিত্র আবার দাঁড়াবে। বয়সের কারণে দাঁড়াবে না বলে দিয়েছে। এবার পার্টি যা সিদ্ধান্ত নেবে। আসলে টানা তিনবারের কাউন্সিলর ছিল। শেষ দুবার শোচনীয় হারের পর হারের হ্যাট্রিকটা আটকাতে চাইছে। তিয়াত্তরে পড়ল এবার। পূর্ত দফতরে চাকরি করত। তবে রথীন মিত্র না দাঁড়ালে মনে হয় পার্টি মিহিরদাকেই প্রার্থী করবে। তবে সত্যি বলতে যেই প্রার্থী হোক না কেন জেতার প্রায় কোনো আশাই নেই। আর সেটা নয়ন ও অন্যান্য কমরেডরা সকলেই জানে। তবে প্রত্যয় হারালে তো চলবে না।
নয়নের জীবনে এর আগে কখনওই কোনো শারীরিক অভিজ্ঞতা হয়নি। মাস্টারবেশন ছাড়া। যা সে আজও করে। প্রেম থেকে নিজেকে বিরত রাখায় প্রেমিকা হয়নি তো সেক্স হবে কি করে! আর টাকা দিয়ে সেক্স কেনা তার মোর্যালিটি কখনওই সাপোর্ট করেনি। সুতরাং হাতে রইল ওই মাস্টারবেশন। এদিকে আবার কোনোদিনই কোনো অশ্লীল ভিডিও কি ছবি সে দখেনি। দৈবাৎ কখনও কোথাও চোখে পড়ে গেলেও চোখ সরিয়ে সরে গেছে সেখান থেকে। আর সে কিনা আজ প্রথমবারেই এত্তটা একসাথে পেয়ে গেল! নয়ন অবাক হয়ে যাচ্ছে ভেবে ভেবে!
সতেরো বছর বয়স পার্টির ভাবাদর্শের সাথে পরিচয় যেমন তার জীবন সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা তেমনই আর একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা আছে এবং তা যৌনতাকেন্দ্রিক।
শরীরটা খারাপ লাগায় কলেজ থেকে সেদিন সে দুপুর নাগাদ ফিরে এসেছিল। বাড়িতে থাকার মধ্যে ছিল মা-ঠাকুমা আর জ্যাঠা সেদিন অফিস যায়নি সেটা সে দেখেই গিয়েছিল।
নিচের ঘরে মাকে না দেখতে পেয়ে নয়ন সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতে উঠতে একটা হাল্কা গোঙানির আওয়াজ পাচ্ছিল। দোতলায় প্রথম ঘরটাই জ্যাঠার। আওয়াজটা তার ভেতর থেকেই আসছিল। দরজাটা ভেজানো ছিল। দুপাল্লার মাঝের ফাঁক দিয়ে নয়ন যা দেখেছিল তা তাকে একইসাথে অবাক ও শিহরিত দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। খাটের ওপর হামাগুড়ি দেওয়ার মতো করে তার মা আর পেছনে মেঝেতে দাঁড়িয়ে জ্যাঠা তাকে করছে। দুজনেই পুরো উলঙ্গ। দুহাতে মায়ের কোমরটা চেপে ধরে জ্যাঠা বেশ জোরে জোরেই আর মা বুঁদ শীৎকারে। ঠিক কতক্ষণ তা নয়নের মনে নেই তবে হবে কিছুক্ষণ। তারপর নয়ন আর দাঁড়ায়নি। সোজা নিচে নেমে নিজের ঘরে চলে গিয়েছিল।
চলবে…