আছাড় না! আচার খান
অনেকেই বলেন পশ্চিমবঙ্গ খাদ্যপ্রেমীদের স্বর্গ। বাঙালি ভোজনরসিকদের তালিকায় আচারের উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। স্বাদে, গন্ধে মন মাতানো আচারের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যসম্মত দিক।
আচারের নাম শোনামাত্র যাদের রসনাতে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় তাদের জন্য রইল বেশ কিছু আকর্ষণীয় তথ্য।
আমাদের মস্তিষ্কের ওপিনওয়েড সিস্টেম এর কারণে আমাদের শরীরে লবনাক্ত খাবার গ্রহনের চাহিদার অনুভূতি তৈরি হয়।
এই থেকে আচারের প্রতি আসক্তি ও তৈরি হয়। শরীরে জলের ঘাটতি, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা অথবা এডিসন রোগের কারণে মানুষের আচার খাবার প্রবণতা চোখে পড়ে।
মাসল ক্রাম্প হলে সত্বর ব্যবহার করা যেতে পারে এটি। দেখা গেছে এই সময় সম পরিমান জল খাবার থেকে এই আচারের রস বেশি কাজ দেয়।
এর মধ্যে থাকা ভিনেগার দ্রুত ব্যথার উপশম করে এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।গবেষণা বলছে আচারের রস রক্তে চিনির মাত্রা, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, মাংসপেশির খিঁচ ইত্যাদি কমাতে খুবই উপকারী।
জলের উত্তম সাপ্লিমেন্ট হতে পারে এটি। শরীরে নিয়মিত ফ্লুইড এর যোগান দিতে জলের পাশাপাশি ব্যবহার করে দেখতে পারেন আচার জুস।
বেশি সময় ধরে জিমে ওয়ার্ক আউট করলে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে যান একে। এর মধ্যে থাকা ভরপুর সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম বডি থেকে বেরিয়ে যাওয়া মৌল গুলির রিকভারিতে উল্লেখ্য ভূমিকা নেবে।
পেশির খিঁচ সারাতে আচার জুসের জুড়ি মেলা সত্যি ভার।
যারা ভাবছেন আচার খেলে তাদের ওজন সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হবে তারা একেবারেই ভুল ভাবছেন।
বরঞ্চ হাই ক্যালোরি স্পোর্টস ড্রিংকস এর বদলি হিসাবে রাখুন আচারকে। এতে থাকা ইলেক্ট্রলাইট দ্রুত কাজ করে। এতে ফ্যাট নেই বিন্দুমাত্র এই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ইনসিপিডাস উভয় ক্ষেত্রেই দারুণভাবে কাজ করে এটি।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে চমকপ্রদ ফল দিয়েছে।
এর মধ্যে থাকা নানা এন্টি মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পাচন ক্ষমতা ও খিদে উভয়ই বাড়াতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
তা ছাড়া দেখা গেছে নানা শাকসবজি ও গোটা ফল দিয়ে তৈরি আচার অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নানা উপকার করে।
এতে ফাইবার এর উচ্চমাত্রা হাড়ের গঠন ও পুষ্টিতে উপযোগী।
এতে উপস্থিত হেপাটোপ্রোটেক্টিভ উপাদান লিভার এর ক্ষতি আটকায় ও আলসারের ঝুঁকি হ্রাস করে।