নাম পরিবর্তন করছে ফেসবুক!

তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ইনকরপোরেশন নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই এই উদ্যোগ। ২৮ অক্টোবর বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা। ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসন্ন সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

ভার্জের প্রতিবেদনের পর রয়টার্স ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ‘গুজব বা গুঞ্জন’ নিয়ে তারা মন্তব্য করে না সাধারণত। ভার্জের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফেসবুকের রয়েছে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, অকুলাসের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আরও বেশ কিছু অ্যাপ। নতুন নামে ব্র্যান্ডিংয়ের কারণে ফেসবুক ইনকরপোরেশনের এই অ্যাপগুলো একটি মূল কোম্পানির অধীনে চলে আসবে।

তবে পরিসর বাড়াতে সিলিকন ভ্যালির কোম্পানিগুলোর নাম পরিবর্তনের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৫ সালে গুগল অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনকে হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তরিত করে। তাঁদের লক্ষ্য ছিল সার্চ ও বিজ্ঞাপন ব্যবসার পরিসর বাড়ানো। এছাড়া দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে স্বায়ত্তশাসিত ভেহিকল ইউনিট এবং স্বাস্থ্যপ্রযুক্তির মতো অনেকগুলো অংশীদার প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের অধীনে আনা।
এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ফেসবুকের তথাকথিত মেটাভার্স কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে। মেটাভার্স এমন এক অনলাইন দুনিয়া, যেখানে মানুষজন আলাদা ডিভাইস ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল এক জগতে চলাফেরা, যোগাযোগ ও কাজ করতে পারবেন।

 

এর জন্য ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে ফেসবুক। নিজেদের প্রায় ৩০০ কোটি ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন ডিভাইস ও অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত করাই এর লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার ফেসবুক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে আগামী পাঁচ বছরে ১০ হাজার জন নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়। এই কর্মীরা মূলত মেটাভার্স প্রযুক্তি তৈরির কাজে সাহায্য করবেন।

জুকারবার্গ জানান ফেসবুকের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে মেটাভার্স ধারণায়। প্রযুক্তিগত এই ধারণা একজন মানুষকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিকে উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে। যেখানে একজন কাজ করার সঙ্গে চলাফেরা করতে পারবেন।

ওই সময় জুকারবার্গ আরও বলেন, ‘আসছে বছরগুলোতে মানুষজন আমাদের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি থেকে ধীরে ধীরে মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে দেখতে শুরু করবে। অনেক দিক থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রযুক্তির চূড়ান্ত অবস্থা হলো মেটাভার্স।’

তথ্য- দ্য ভার্জ, আল-জাজিরা, রয়টার্স

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page