কবিতা।। ঋষি সৌরক অরণ্য ।।

ফেরার
ফিরে যেতে যেতে তো ততোটাও ফিরে যেতে পারি না, যেখানে গিয়ে নিজের সাথে মোক্ষম একটা ধাক্কা লাগে।
টুকটাক কাটাছেঁড়া ক্ষত ভুল দিয়ে ঘিরে থাকা অভিমান – এইতো! এতে আমার কীই বা হবে… খুব বেশী হলে সাময়িক যুক্তাক্ষর জমে বরফ… ঘটনাচক্রে জল
একদিন মনে হয় খুব ভোরে সশব্দে ভেঙে যাবে ঘুম। কেউ নেই। অথচ প্রত্যাশাবিহীন সতত অভিযান। স্ফিত হয়। এবং সংকোচন। এবং এভাবেই তার চিরন্তন কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। বিবিধ বিভঙ্গে।  প্রশ্ন-জবাবের মাঝখানে যে ছোট্ট বিরতি, সেটুকু দিয়েই কেউ যেন ছবি আঁকছে সেই প্রজাপতির – যে তোমাকে একদিন মনে করাতে চেয়েছিল কেন এই এতসব। কেন তার প্রজাপতি… কেনই বা তোমার…কীভাবে মাধ্যাকর্ষণ এর চক্রব্যূহ এড়িয়েও স্বাধীন হচ্ছে সামান্য দুটি ডানা। কিন্তু এই রোমন্থনের নির্যাস যারা যারা নিতে পারেনি, তাদেরও বিশদ সক্ষম বলা যায়। এই অভিনয় সেখানেই নিখুঁত, যে তুমিই তোমার চরিত্রে ঢুকে পড়ছো, যেভাবে সালোকসংশ্লেষে আণবিক আলো, অদম্য ও অনিবার্য। কী সাবলীল এই হওয়া। না হওয়া। এবং প্রতিটি হেতুর অহেতুক আন্দোলন।
ফিরে যেতে যেতে এত ক্লান্ত লাগে। চোখ খুলে  প্রবাদপ্রতিম নগ্নতা কে বের করে আনি। বৃষ্টি নামাই। জন্মজন্মান্তরের খিদে তখন লাস্য থেকে চণ্ডাল মুদ্রায় উপনীত। অথচ কে কার কথা শোনে। আমার ঘুম ভাঙে না। নরম কোকিলের মত বিকেল,  এরকম কিছু একটা ঠেকে গায়ের ভেতর। মাঝে মাঝে গুল্মজ্যোৎস্নার গন্ধে নিবে যাই। একটু একটু করে সময়ের ভেতর মিলিয়ে যায় সময়। মূর্তস্রাব কে চেটেপুটে নেয় বিমূর্ত হাওয়া। সুড়ঙ্গের ভেতর মিলিয়ে যায় আলো। প্রজাপতিটাও রঙ হারাতে হারাতে ফুলের ভেতর লিখে রাখা ভাষাগুচ্ছ অনুবাদের দায়ভার দিয়ে সময়কে গুরুতর করে যায়। খাওয়া হয় না মোক্ষম সেই ধাক্কাটা। জানা হয় না…কেন এসেছিলাম…ফিরছি কোথায়।
শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page