রোদ্দুর রায় গ্রেফতার গোয়া থেকে
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- নেটমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর মন্তব্য’ করেছেন রোদ্দুর রায়। এদিন নিজেকে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিৎপুর থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ঋজু দত্ত। তার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে রোদ্দুর রায় তাঁর ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। ৩৭ মিনিটের সেই লাইভে তিনি বলেছেন, দু’বছর আগে একটি কেস খেয়েছিলেন। সেই লাইভে তিনি মমতার লেখা কবিতা নিয়েও বক্রোক্তি করেছেন। এর আগে রোদ্দূর রায় একের পর এক ফেসবুক স্টেটাস দিয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘কেস দাও মোরে কেস দাও আরও, বন্ধ রাখিও কারাগারে’, ‘পুলিশও হাসিছে মোক্সা ক্যাওড়া দেখিছে থানায় বসি, গাঁজার গোলাপ বানায়েছে তারা ফেলিয়া কড়া ও রশি’।
তৃণমূলের মুখপাত্র পরিচয় দেওয়া ঋজুর অভিযোগ, রোদ্দূর সাম্প্রতিককালে নেটমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন। তবে যে বিষয়টি নিয়ে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিকতম অভিযোগ, তিনি সেটি করেছিলেন একটি ফেসবুক লাইভে।
সম্প্রতি গায়ক রূপঙ্কর বাগচি এবং অকালপ্রয়াত গায়ক কেকে সংক্রান্ত বিতর্ক এবং বিতন্ডার প্রেক্ষিতে তিনি করেছিলেন এক লাইভ। কয়েক মিনিটের ওই ফেসবুক লাইভে রোদ্দূর রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে তিনি রাজ্যকে অপমান করেন অভিযোগ এমনটাই। নেটমাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ চেয়ে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সেই ব্যক্তি।
তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও রোদ্দুরের বিরুদ্ধে লালবাজার-সহ বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ ছিল তখনও। একই অভিযোগে আবার নতুন করে পুলিশের কাছে এফআইআর করা হল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে।