এবার আর সিনেমায় নয় বাস্তবেই দেখা যাবে টাইটানিককে
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- সেই বিশাল প্রমোদতরী টাইটানিক সমুদ্রের গভীরে ডুবে যাওয়ার বহুবছর পার হয়ে গেলেও জাহাজটিকে নিয়ে আজও মানুষের মনে কৌতুহল রয়ে গেছে। সেই কৌতুহল মেটাতেই টাইটানিকের আদলে একইরকম আরেকটি টাইটানিক তৈরি করছে চীন।
১৯১২ সালে ২২’শ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া দৈত্যাকৃতির জাহাজ আর.এম.এস-টাইটানিক নিয়ে তৈরি টাইটানিক মানুষের মনে তৈরি করেছে অনেক কৌতুহল। প্রায় ১৫০০ যাত্রী নিয়ে টাইটানিক এখনো ঘুমিয়ে আছে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে। এরপর প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে।
কিন্তু কারোর মনের কৌতুহল এতটুকুও কমেনি বিশাল এই প্রমোদতরীকে ঘিরে।
আর তাই টাইটানিকের মতো সমান আকারের এবং হুবহু একইরকমের টাইটানিক-২ তৈরির কাজ চলছে। এই টাইটানিক তৈরি করছে চীন। নতুন এই জাহাজটি হবে ২৬৯ মিটার লম্বা। স্থায়ীভাবে একে নোঙ্গর করে রাখা হবে সিচুয়ান প্রদেশের একটি নদীতে।
চীনা এই জাহাজের ভেতরের নকশাও থাকবে টাইটানিকের মতনই একইরকম। থাকবে হলরুম, থিয়েটার, সুইমিং পুল এবং প্রথম শ্রেণীর কেবিন। আর সাথে যুক্ত হবে ওয়াইফাই। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২ হাজার ৪৩৫ জন যাত্রীক্ষমতা সম্পন্ন ৯টি ডেকের এই জাহাজে আরও থাকছে ৮৩৫টি কেবিন।
মূল টাইটানিকের মতই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট পাওয়া যাবে। এমনকি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সাজ-সজ্জাও থাকছে একইরকম। হলিউডের টাইটানিক ছবিতে দেখা বিশাল সিড়িও থাকবে নতুন এই টাইটানিকে। বলা হচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত জাহাজটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ১ বিলিয়ন ইউয়ান। লেগেছে ২৩ হাজার টন স্টিল।
এর আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান এক মিলিয়নেয়ার ২০১২ সালে টাইটানিকের আদলে হুবহু একটি জাহাজ তৈরির কথা ঘোষণা করলেও সেই কাজ এখনো শেষ হয় নি।
এবার দেখা যাক চীন কতটা এগোতে পারছে ঐতিহাসিক জাহাজ বানাতে।