বিদগ্ধ লেখকদের বিচিত্র সব অভ্যাস
পিনাকী চৌধুরী
সাদা কাগজ আর নীল রঙের কালি পেলে যেন লেখকদের স্বর্গসুখ। লেখকের আবেগ, অনুভূতি, প্রেম অপ্রেম, আনন্দ বিষাদ, , সুখ দুঃখ, এসবই সাদা কাগজে আরও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে। তবে আজ কিন্তু বিদগ্ধ লেখকদের বিচিত্র সব অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা যাক। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, ভিক্টর হুগো তাঁর সেই বিখ্যাত উপন্যাস ‘ হাঞ্চব্যাক অফ নটর -ডেম ‘ লিখেছিলেন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ! এমনকি তিনি তাঁর জামাকাপড় আলমারিতে তুলে রেখেছিলেন, যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন ।
ওদিকে আবার আগাথা ক্রিস্টি তাঁর বিখ্যাত সব রহস্যকাহিনি লিখতেন বাথটবে শুয়ে আপেল খেতে খেতে। দৃশ্যটা একবার কল্পনা করুন। নাকে উৎকট দুর্গন্ধ লাগলেই নাকি ফ্রেডরিক শিলরের কলম সক্রিয় হয়ে উঠতো ! এজন্য লেখক তাঁর লেখার টেবিলের ড্রয়ারে পচা আপেল রাখতেন ! ট্রুম্যান ক্যাপোটির আবার কুসংস্কার ছিল তিনি শুক্রবার কোনো লেখা শুরু বা শেষ করতেন না।
এদিকে আবার আমাদের স্বনামধন্য বাঙালি লেখকদেরও বিচিত্র সব অভ্যাস ছিল। যেমন ধরুন, বিমল কর লেখা শুরুর আগে তাঁর সাধের লেখার প্যাডটি একটু গরম করে নিতেন। শীতের স্নিগ্ধতায় পাইকপাড়ার ঘরে রোদ বারান্দায় টেবিলে বসে তিনি লিখতে অভ্যস্ত ছিলেন। তবে তার আগে তিনি তাঁর স্ত্রী গীতাদেবীকে অনুরোধ করতেন , তাঁর লেখার প্যাডটি একটু গরম করে দিতে, কারণ হল , তাতে কলমের কালি ভাল সরে । ওদিকে আবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপুড় হয়ে শুয়ে লিখতে পছন্দ করতেন। আশাপূর্ণা দেবী কিন্তু আবার সারা রাত ধরেই দিস্তা দিস্তা কাগজে লিখতে পারতেন। বরেণ্য সত্যজিৎ রায় আবার নানাবিধ দামি ঝরনা কলমে লিখতেই পছন্দ করতেন। এছাড়াও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু ধূমপান সঙ্গতে লিখতেই সাবলীল ছিলেন।।