চায়ের সঙ্গে অরেঞ্জের খোসা! দূরে রাখবে অনেক রোগ
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- এখন গ্রিন টি সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রেই গ্রিন টি’র ভক্ত। স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য্য দুটোই সমানভাবে ভালো রাখতে এর জুড়ি নেই। ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যাফেইন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা অনেক রোগে উপকারী। এর ব্যবহার স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসে যেমন উপশম দেয়। তেমনি এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়। যার জন্য চিকিৎসকরাও গ্রিন টি পান করার পরামর্শ দেন। গ্রিন টি অনেক ধরনের হয়। যার মধ্যে একটি হল অরেঞ্জের খোসার চা। সাধারণত অরেঞ্জ খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেয় অনেকেই। কেউ কেউ কমলার খোসা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন। এছাড়া কমলার খোসা পেটের জন্যও উপকারী।
ইমিউনিটি বাড়ানোর পাশাপাশি, ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অরেঞ্জ খোসা চায়ের উপকারিতা
অরেঞ্জে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। বিশেষ করে শীতকালে মানুষ কম জল পান করে। এই কারণে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। একই সঙ্গে কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে জল পাওয়া যায়। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। তাই শীতকালে অরেঞ্জ খাওয়া উচিত। এছাড়া অরেঞ্জের খোসায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও, পাচনতন্ত্র শক্তিশালী হয়। এই চা পান করলে শরীরে উপস্থিত টক্সিন বেরিয়ে যায়। একই সময়ে, মেটাবলিজমও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো হয়। সেই সঙ্গে কমলালেবুতে উপস্থিত ফাইবার খাবারকে সঠিকভাবে হজম করে। এর জন্য অবশ্যই কমলার খোসার চা খান।
কিভাবে চা বানাবেন
দেড় কাপ জলে দারুচিনি, ২-৩টি কালো গোলমরিচ ও গুড় মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার এতে অরেঞ্জের খোসা দিন। তারপর চা কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। চা ভালো করে ফুটে উঠলে। ছাঁকনির সাহায্যে ফিল্টার করে অরেঞ্জ চা উপভোগ করুন।