Valentines Day: ভালোবাসা দিবসে চন্দ্রবিন্দুর নিবেদন ‘টালোবাসা’
তৃতীয়পক্ষঃ কলেজ কেটে প্রেম হোক বা, অফিসের সেই লুকনো প্রেম। প্রেম (Valentines Day) মানেই এক অন্য অনুভূতি। শীতের পর বসন্ত আসবে, আর প্রেম আসবে না এমনটা তো নয়। প্রথম কলেজের দিনটা/ আজও ঠিক মনে পড়ে সিনটা। প্রেমে পড়লে, এই গানগুলো মাথায় আসবে না এ ভাবাটাও দুরূহ। হ্যাঁ, এখানে একটা কথা তাঁকে অবশ্যই বাঙালি হতে হবে। আর বাংলা ব্যান্ড গানের ভক্ত নাহলেই নয়।
এদিকে বসন্তের মরসুম। ভ্যালেন্টাইন ডে, এর সঙ্গে উপরি পাওনা বাঙালিদের প্রেমের দিন সরস্বতী পুজো। দুইয়ে মিলে এক হয়ে এ বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভাসল বসন্তের পলাশ রঙে। তার সঙ্গে জুড়ে গেল বাঙালির আরেক আবেগ ‘চন্দ্রবিন্দু’। হ্যাঁ, আমি বলছি বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর কথা। ভালোবাসা দিবসে উদযাপন হলো ‘টালোবাসা’।
অনিন্দ্য, উপল, চন্দ্রিলের পরিবেশনায় এদিনের একক অনুষ্ঠান জি ডি বিড়লা সভাঘর মাতিয়ে রাখল ‘টালোবাসা’। বন্ধু তোমায় এ গান শোনাবো বিকেল বেলায়… না ঠিক বিকেলবেলায় অনুষ্ঠান শুরু না হলেও, পৌনে সাতটায় পর্দা উঠল গিটারের টুং টাং আর দর্শকের করতালিতে। যেখানে ‘চন্দ্রবিন্দু’ মানেই এক নস্টালজিয়া। শুরু হলো সবার পরিচিত গান দিয়ে, ভেসে যায় আদরের নৌকো/ তোমাদের ঘুম ভাঙে কলকাতায়। এরপর ধীরে ধীরে একের পর এক পরিবেশনা আর হল ভর্তি দর্শকের করতালিতে ‘ভালোবাসা দিবস’ (Valentines day) আনাড়ি নয়, পুরো টইটম্বুর।
যেখানে পুরনো গানের সঙ্গে কিছু নতুন গানও এদিন অন্যরকম ভাবে পরিবেশন করেন দর্শকদের সামনে। যেমন একদল নৃত্যশিল্পীর কোরিওগ্রাফিতে ফুটে উঠল একটি গান। মজার গানের সঙ্গে উঠে এলো সাম্প্রতিক খবরে থাকা পুনম পাণ্ডের কথাও। এর পাশাপাশি ছোট্ট অভিনয়, ম্যাজিকের সঙ্গে দৃশ্যায়ন হলো ‘কি আর বলব বলো সখী’ গানটি। যেখানে অভিনয় করলেন মির্চী অগ্নি(Mirchi Agni), অভিনেত্রী হিসেবে ছিলেন অনুরাধা মুখার্জী (Anuradha Mukherjee) এবং ম্যাজিক নিয়ে ম্যাজিশিয়ান অরিন্দম (Magician Arindam)।
‘চন্দ্রবিন্দু’র একক অনুষ্ঠান সবসময়ই এরকম চমকে ভরা থাকে। স্পেশ্যাল ভাবনার ঝুলি নিয়ে পরিবেশনা করা হয় দর্শকদের সামনে। এর সঙ্গে থাকে অনেক বাদ্যযন্ত্রী ও কোরাস। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। পুরনো গানের সঙ্গে নতুন গানগুলিও দর্শক শ্রোতাদের মনে গেঁথে থাকবে বহু বছর। এক কথায় বলতে গেলে আদরের নৌকো ভেসে গেল দর্শকদের আবেগে। নস্টালজিয়ায় ভর করে আরও একবার নব্বইয়ের ছেলে/মেয়েটা ফিরল বাড়ি। বুকের ভেতর তার রয়ে গেল কয়েক শতাব্দীর ভালো লাগার পরশ।