World Cup Final: ১৪০ কোটির স্বপ্নভঙ্গ!

 তৃতীয়পক্ষ ওয়েব ডেস্কঃ ১৪০ কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হলো হাতছাড়া ভারতের। কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনির পর কাপ উঠল না রোহিত শর্মার হাতে। আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হার ভারতের। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া। রবিবাসরীয় রাতে ভারতকে ৬ উইকেটে হারাল প্যাট কামিন্সের দল। এরই নাম অস্ট্রেলিয়া। আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল অজিরা।

তবে সবদিক থেকে এগিয়ে ছিলেন রোহিত শর্মারা। দশে দশ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। মঞ্চ সাজানোই ছিল। সকলে ধরেই নিয়েছিল ভারত বিশ্বকাপ জিতবে। কিন্তু মোদির রাজ্যে চূড়ান্ত হতাশ করল টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালের চাপ নিতে ব্যর্থ হলো তারা।

দশ ম্যাচে একপেশে জয়ের পর অজিদের বিরুদ্ধে পদস্খলন রোহিত শর্মাদের। চাপের মুখে আত্মসমর্পণ। এদিন ৩০-৪০ রান কম তোলে ভারত। অত্যন্ত মন্থর ব্যাটিং কেএল রাহুলের। ফিল্ডিংও উন্নতমানের নয়। অবশ্য পরের দিকে শিশিরের জন্য কিছুটা সুবিধা পায় অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি দুরন্ত ফিল্ডিং অজিদের।

এদিন টসে জিতে প্যাট কামিন্স ভারতকে ব্যাট করতে পাঠানোয় ২০ বছর আগের স্মৃতি ভেসে উঠেছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান সৌরভ গাঙ্গুলি। বাকিটা ইতিহাস। তার পুনরাবৃত্তি ঘটল না। ভারত অজি বোলারদের সাজানো ফাঁদে পা দিল। ঘরের মাঠ, চেনা পিচ। মোতেরার উইকেটে নেমেই শট খেলা সহজ নয়। সেই ভুলটাই করেন শুভমন গিল, শ্রেয়স আইয়ার। প্রতি ম্যাচের মতো শুরুটা দারুণ করেন রোহিত শর্মা। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, পিচের সঠিক চরিত্র বোঝা যায়নি। অন্যান্য ম্যাচের মতো সাবলীল ব্যাটিং। মাত্র ৩১ বল ক্রিজে ছিলেন। তারমধ্যে হাঁকান ৩টি ছয়, ৪টি চার। তবে ঠিক সেমিফাইনালের মতো মাত্র ৩ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। ৩১ বলে ৪৭ রানে ফেরেন রোহিত। এই পিচেও দেড়শো স্ট্রাইক রেট। কিন্তু ভারত অধিনায়ক বাদে বাকিরা যথেষ্ট বেগ পায়। আগেই ফিরে যান শুভমন গিল (৪)। ৮১ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু দলকে ম্যাচে ফেরান বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল। এদিনও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে মনে হয়েছিল।

চার, ছয় না হলেও এই উইকেটে খারাপ ব্যাট করেননি বিরাট, রাহুল। চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ হয়। মন্থর পিচে বল ব্যাটে আসছিল না। ৬৩ বলে ৫৪ করে কামিন্সের বলে বোল্ড হন। ব্যর্থ শ্রেয়স আইয়ার (৪), রবীন্দ্র জাদেজা (৯), সূর্যকুমার যাদবও (১৮)। মোতেরার পিচে একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয় ভারতীয় দল। চেনা রাহুলকে পাওয়া যায়নি এদিন। ১০৭ বল খেলে মাত্র ১টা চার মারেন। একাই প্রায় ১৮ ওভার ব্যাট করেন। শেষ দশ ওভারের ফায়দা তুলতে পারতেন। কিন্তু উইকেটে সেট হয়েও ৬৬ রানে ফিরে যান। ৫০ ওভারে ২৪০ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। তারই খেসারত দিতে হল। ফাইনালে বিনা লড়াইয়ে হার। চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন বুমরা, সিরাজরা।‌ স্তম্ভিত বিরাট। ম্যাচ শেষেই থমথমে মুখে ড্রেসিংরুমে চলে যান রোহিত।  তবু শেষ হয়েও যেন হইল না শেষ। অধরা রইল বিশ্বকাপে চুম্বন।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page