শরীরের কোলেস্টেরল লেভেলকে কমাতে খান এগুলি
কোলেস্টেরল! এই শব্দটা শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। আমাদের জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ব্যাপারে আমাদের খাবারের প্লেটকে উপেক্ষা করে ফেলি।
এদিকে সঠিকভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের খাবারের মধ্যে। স্বাস্থ্যকর জিনিস ভেতরে গেলে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। সুতরাং আমাদের কী ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত তা বোঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- ওটস- ওটসে ফাইবার থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। দ্রবণীয় ফাইবার রক্তপ্রবাহে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়।
- সয়াবিন- শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সয়াবিন খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন ২৫ গ্রাম সয়া প্রোটিন (১০ আউন্স টফু বা ২ কাপ সয়া দুধ) গ্রহণ করলে LDL ৫% থেকে ৬% কমাতে পারে!
- ভেজিটেবল তেল- সূর্যমুখী তেলের মতো কিছু ভেজিটেবিল তেল ব্যবহার করলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে। ঝুঁকি কমানোর জন্য মাখনের পরিবর্তে এই ধরণের স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা উচিত।
- চর্বিযুক্ত মাছ- চর্বিযুক্ত মাছ ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা ৩ এর সবচেয়ে বড় উৎস। ওমেগা ৩ ফ্যাট শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। যারা মাংস খান তাদের জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
- ঢ্যাঁড়স- ঢ্যাঁড়সে পাওয়া মোটা জেলের মতো পদার্থ কোলেস্টেরলের সাথে আবদ্ধ হয় এবং শরীরে তাকে শোষিত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে শরীর থেকে বের করে দেয়।
- বেগুন- ১০০ গ্রাম বেগুনে ৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই ফাইবারগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে। এছাড়াও বেগুনে কম ক্যালোরি রয়েছে যা নিয়মিত ডায়েটে যোগ করার আদর্শ সবজি করে তোলে।
- বাদাম- বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এগুলি ফাইটোস্টেরল সমৃদ্ধ যা কোলেস্টেরলের সাথে কাঠামোগত মিল রয়েছে। যা তাদের কোলেস্টেরলের সাথে আবদ্ধ হতে প্ররোচিত করে এবং শরীরে এর শোষণকে বাধা দেয়।