TET Agitation: সল্টলেকে সংঘাতের ৪ দিন
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- চার দিন হয়ে গেল সংঘাতের। সল্টলেকে সেই একই অবস্থায় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। খিদে পেটেই চলছে আন্দোলন। এমনকি জল নামেনি গলা থেকেও। অসুস্থ হয়েছেন অনেকে। কিন্তু আন্দোলন থেকে নড়বেন না তাঁরা। গলা ভেঙে স্বর বেরোচ্ছে না তাঁদের, তবুও চলছে স্লোগান।
চাকরির দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে টেট পাশ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আমরণ অনশন চলছেই। আজ চতুর্থ দিনে পড়েছে এই আন্দোলন। এরমধ্যেই পর্ষদ সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, এই দাবি অন্যায্য, তা মানা হবে না। এক কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর কথায়, “ গোটা ভারতে এমন কোনও দিন হয়েছে? যে একটা প্যানেল বেরিয়েছে, আর সেই প্যানেলের সবাইকে চাকরি দিয়ে দিতে হবে।” কিন্তু চাকরির দাবিতে নাছোড় চাকরিপ্রার্থীরা। তবে চতুর্থ দিন দেখা গেল অন্যরকম দৃশ্য। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন একের পর এক চাকরিপ্রার্থী। গায়ে সাদা কাপড় দিয়ে শুয়ে রয়েছেন তাঁরা। নিজেরাই বলছেন, জীবন্ত লাশ!
অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আসছেন, তবে আগেই স্পষ্ট করেছিলেন তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। একটাই দল তাঁদের বেকারত্ব। তাই হকের চাকরির দাবিতে ধনুক ভাঙা পণ নিয়েছেন তাঁরা। এক আন্দোলনকারী বললেন, “কিছু ক্ষেত্রে তো দেখেছি সরকার ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এক্ষেত্রে কেন হচ্ছে না?” আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে, একজন বললেন, “মরেই তো গেছি প্রায়। এবার শেষ লড়াইটা লড়ছি। মরতে হলে এখানেই মরব।”