কবিতা ।। ভজন দত্ত।।
ঝকমারি চন্দ্রপ্রীতি
চাঁদের গভীর নাভির দক্ষিণ বরাবর ইসরোর বিক্রম অশোক ছাপ চুম্বনে যখন দেশপ্রেমের ইস্তাহার রচনা করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন চাঁদের মাটিতে পোঁতা ঝাণ্ডা, ‘উঁচা রহে হামারা শির, হামারা শির’ করে গুনগুন করে গাইছিল, তখনও তোমার চাঁদ আকাশে লটকে। বিছানার পাশে কৌশল অনুনয়ে বলা, পেড়ে দাও, পেড়ে দাও হাতের নাগালে। ধরো, অদ্যই সদ্য কেনা ছোঁয়ানাড়া ফোন প্রাপ্তির যে আনন্দ সেই আনন্দে ছুঁয়ে নেড়ে ঘাটাঘাটি করি ।
সিসিটিভির ভেতর সে সবের চলমান ছবি দেখে যারা, তারা পোষা রিংটোনে ‘শিকারি খুদ ইহা শিকার হো গয়া’ গান শোনে। মাঝেসাঝে মধ্যরাত্রির ভেতর উঁকি দেয় সুখ, গান গায় তারা, শুকতারা মিটিমিটি হেসে উঠে আসে ক্রোমে।
ক্রোমের ইতিহাস জানে, নগরকীর্তনে কত ছল, কত জল, কত মিসডকল, আর কত কত আনওয়ান্টেড সাইট দর্শন। দর্শন-দশা কাটিয়ে জয় বাংলার পিচুটি চোখের ভেতর ডিঙা ভাসায়, দাঁড়-ধ্বনিতে পাড় ভাঙে, নিঃশব্দে হৃদয়ে বাজে, ‘অয়’ চাঁদ সদ্যজাত লক্ষ্মীবারের পাঁচালি । বাড়ন্ত বয়স জানে এই সংসারে অতি চন্দ্রপ্রীতি ও ভালোবাসা ঝকমারি ।