মৃত্যুচিন্তা আসছে বার বার! জেনে নিন কোন অবসাদে ভুগছেন

মৃত্যুচিন্তা আসছে বার বার! জেনে নিন কোন অবসাদে ভুগছেন
তৃতীয়পক্ষ ওয়েবডেস্কঃ যখন আর কিছু ভালো লাগছে না। মন থেকে সব কিছু উঠে যাচ্ছে। কখনও কাঁদছেন, কখনও ঘুম নেই, প্রিয় জিনিসও অপ্রিয় হয়ে উঠছে। বুঝতে হবে অবসাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।
এই অবসাদ থেকে মৃত্যু চিন্তা বেড়ে ওঠার পাশাপাশি চলে আসে আত্মহত্যার প্রবণতা। সবাই যে এমনটা করেন তা নয়। জীবন যদি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে তবেই এসব চিন্তা মাথায় আসে। এছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে তার প্রতিও একটা অবহেলার প্রবণতা প্রকাশ পেতে শুরু করে। অবসাদের এই পর্যায়কে বলা হয় মর্বিড ডিপ্রেশন। এরকম হলে মুক্তির পথ শুধু অবসাদকে বাগে আনা নয়, দরকার চিকিৎসা।
কী করবেন?
অবসাদ বা ডিপ্রেশন, একটি অসুখ। আর অবসাদ পুষে রাখা খুব খারাপ। বর্তমানে বিভিন্ন ওষুধ এসেছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সেগুলো খেলে সমস্যা শুরুতেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল করেন অনেকেই। রোগ ফেলে রাখেন। চিকিৎসকের কাছে যান না তারা। এটা করবেন না।
চিকিৎসার সঙ্গে পরিবার-পরিজনের সহায়তাও দরকার। প্রকৃত সঙ্গ দেওয়া প্রয়োজন, তাঁর কথা শোনা দরকার। দিনে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রোগীর সঙ্গে সময় কাটানো প্রয়োজন। কথা বলুন, তিনি যা ভালোবাসেন সেটাকে প্রাধান্য দিন। অবসাদ হলেও রোগীর কিছু না কিছু ভালো লাগা থেকে যায়, সেটা তাঁর সামনে তুলে ধরুন।
অবসাদের ক্ষেত্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ যেমন জরুরি তার পাশাপাশি অবসাদজনিত সমস্যা থেকে অন্যান্য শারীরিক অস্থিরতা থাকলে, জীবনের প্রতি অনীহা দেখা গেলে তা কাটিয়ে তুলতে রিহ্যাবিলিটেশন খুবই জরুরি একটি চিকিৎসা। আবার কারও অবসাদের সঙ্গে ব্যথা, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, পেটের অসুখ বা নির্দিষ্ট অন্যান্য সমস্যা চলে আসে, সেগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসা করাও দরকার।
এটাও ধরা হয় যে কোনও ব্যথাই যদি পরোক্ষভাবে অবসাদকে আরও বাড়ায়। তাই অবসাদ কাটিয়ে তুলতে মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শারীরিক অস্বস্তিকেও কাটিয়ে তোলা জরুরি। তাই রিহ্যাবিলিটেশন পদ্ধতির দরকার ভীষণভাবে।
সকালে উঠে যোগ ব্যায়াম করা, শারীরিক শ্রম বজায় রাখা, মেডিটেশন করানো, উপযুক্ত ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া করা দরকার। অনেক সময় দেখা যায় উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিনের অভাবেও মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে।
অনেকসময় দীর্ঘ একাকীত্ব থেকে, মন খুলে কথা বলতে না পারলে ধীরে ধীরে মরবিড ডিপ্রেশন শুরু হয়। এই অবস্থায় থাকতে থাকতে দেখা যায় রোগীর অন্যান্য অসুখগুলোও বাড়তে থাকে। যে কোনো ব্যথা, অস্বস্তি, হার্টের অসুখ যাই থাক না এগুলির প্রতিও অবহেলা শুরু করেন রোগী। তখন অবসাদের সঙ্গে শারীরিক নানা অস্বস্তিও প্রকাশ পেতে থাকে। রোগী আরও জর্জরিত হতে থাকে।
আর কী লক্ষণ থাকে
সবসময় মনখারাপ, ভালো কিছু ঘটলেও আনন্দ নেই, কথায় কথায় মরে গেলেই হবে ভালো, এই অভিব্যক্তির প্রকাশ দেখলেই সাবধান হতে হবে। এক্ষেত্রে রোগীর কাছে জীবন অর্থহীন হয়ে উঠতে শুরু করে।
কারা বেশি এর শিকার হয়
মহিলাদের এই ধরনের অবসাদ বেশি হয়। তাই একটা বয়সের পর মনে কোনো চাপা কষ্ট না রাখাই ভালো। পরিবারে কারও থাকলে অন্যদেরও এমন হওয়ার প্রবণতা বেশি। সঠিক সময়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page