honey

মধুর জাদুতে হোন কুপোকাত

মিশরের ফারাওদের যাত্রার সঙ্গী থেকে শুরু করে সদ্যজাত শিশুর প্রথম খাবারে মধুর ব্যবহার ছিল অনেককাল থেকে। তবে জেনে অবাক হবেন, নেপালের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এমন এক মধু পাওয়া যায়, যা খেলে অনুভূত হয় অদ্ভুত মাদকতা। নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি খেয়ে ফেললে বাস্তব-অবাস্তব জ্ঞানও হারিয়ে ফেলতে পারেন আপনি!

তবে শুধুমাত্র যে ঔষধি গুণের জন্য মধু ব্যবহার করা হয় তা নয়। ফেসপ্যাক কিংবা হেয়ার প্যাকে সামান্য মধু মিশিয়ে নিলেই সেটি জৌলুস নিয়ে আসবে ত্বক ও চুলে। এটি যেমন প্রাকৃতিকভাবে ত্বক করে উজ্জ্বল, তেমনি চুল পড়া রোধ করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

জেনে নিই তাহলে, মধু আমাদের সৌন্দর্য্যের জন্য কীভাবে ব্যবহার করা হয়-

  • মধুতে রয়েছে ত্বকের প্রদাহ রোধকারী এক বৈশিষ্ট্য। যা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করতে এবং লোমকূপে জমা ময়লা পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে মধু বিশেষ জরুরি।
  • প্রোপোলিস সহ কাঁচা মধুর প্রয়োগ ত্বকের স্ট্রেচ মার্কের দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে। আর যেহেতু এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, তাই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুষ্টি যোগাতেও সাহায্য করে মধু।
  • মধু ত্বকে লাগালে সেই অংশের আশেপাশের থেকে আর্দ্রতা আটকাতে পারে। তাই নখের কিউটিকলের উপর এবং তার চারপাশে এটি প্রয়োগ করে আপনি নখ ভেঙে যাওয়া অথবা অবাঞ্ছিত শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে পারেন।
  • এছাড়া যাঁদের রোদে পোড়া ত্বক, বা লাল ভাব অথবা আর্দ্রতার অভাব। অনেক ক্ষণ রোদের মধ্যে থাকলে যাঁদের ত্বক ফুলে ওঠে।তারা এই ধরনের পরিস্থিতিতে ত্বককে ঠান্ডা করতে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি কাঁচা মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরার মিশ্রণটি লাগাতে পারেন। এমনকি এখন আগুনে পুড়ে যাওয়া দেহের চিকিত্সাতেও মধুর প্রলেপ ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • জৈব মধুতে থাকা স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অবস্থা, স্ফীত ত্বক এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ আর লালচে ভাব— এই ধরনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস।যার ফলে আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।
  • মধু যে শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী, সে আমরা সকলেই জানি। তবু আরও একবার মনে করার জন্যেই বলি, রোজ এক চামচ মধু আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়। হাড় ও দাঁত গঠনে মধু ভীষণ সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে। এছাড়া ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page