বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ! মোদীকে ‘মিস্টার হিটলার’ তকমা দিলেন কমল হাসান
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। তার আগে থেকেই জারি হয়েছে ফতোয়া। মানতে হবে এই শব্দ প্রয়োগ। নিষিদ্ধ শব্দের তালিকা প্রকাশ করে লোকসভার সচিবালয় আপাতত তর্জমায়। এ নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। বিরোধীরা দাবি তুলেছেন, মোদী সরকার সংসদে বাকস্বাধীনতায় ‘তালা’ লাগানোর ছক কষছেন। সেই প্রসঙ্গেই প্রতিবাদ করলেন কমল হাসান।
সুপারস্টার তথা মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলপ্রধান আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কমল হাসান ট্যুইটারে তোপ দাগেন, “মিস্টার হিটলার এটা জার্মানি নয়। আপনি কি রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চলেছেন?” তাঁর এরকম টুইটের পর থেকেই শুরু হয়েছে তোলপাড়।
প্রসঙ্গত, সংসদের ডিকশনারিতে বেশ কিছু শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো মুখে আনতে পারবেন না সংসদীয় নেতা ও মন্ত্রীরা। যার মধ্যে রয়েছে- ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’ ‘ভণ্ডামি’র মতো শব্দ।
এছাড়াও সংসদের অধিবেশনে ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘খলিস্তানি’, ‘বিনাশ পুরুষ’, ‘জয়চাঁদ’ , ‘তানাশাহি’, ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’, ‘দাদাগিরি’, ‘খুন সে ক্ষেতি’, ‘দোহরা চরিত্র’, ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘স্নুপগেট’ প্রভৃতি শব্দের প্রয়োগও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে হিন্দী শব্দ তালিকায় রয়েছে ‘গদ্দার’, ‘গিরগিট’, ‘কালা দিন’, ‘কালা বাজারি’, ‘নিকম্মা’, ‘নৌটঙ্কি’, ‘ঢিণ্ডোরা পিটনা’, ‘বেহরি সরকার’ প্রভৃতি। এছাড়া সাংসদদের বলা হয়েছে এইসব শব্দ তাঁরা অধিবেশনের বিতর্কে প্রয়োগ করতে পারবেন না। এসব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কণ্ঠরোধ করতেই কি মোদী সরকার এমন লাগাম টানছেন। তার কারণ, প্রতিবাদ করার সময় এই শব্দগুলোই বেশিরভাগ প্রচলিত। এই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তারকা নেতা কমল হাসান।