গদ্য কবিতা।। নিমাই জানা
প্রহেলিকা আগুনের দিগম্বর নৃত্য ও অজগরের বিশুদ্ধ পায়ুরস
নিমাই জানা
শিবালিক নদীর কর্কটাশনের তৃতীয় ব্রহ্মার ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রদাহের যৌন শ্মশান রোগ চিবোচ্ছি দিগম্বর পুরুষ সেজে , দাঁতে লেগে আছে ৪৯ ডিগ্রির নীল হরিণীদের পচা পাকস্থলীর ঝলসানো আদিম প্রস্তর গন্ধ , থকথকে পিন্ড থেকে বেরিয়ে আসছে এক একটা প্লাস্টিক কোটেড পায়ুরস ,
দুর্গন্ধ , সুগন্ধ আমার রোমগ্রন্থি গলা, দাঁত আর জানু ভেদ করে বেরিয়ে আসা একটা এক একটা উর্বশী নদীর √২ স্নায়ুতন্ত্র , আমি দীর্ঘ এক গুহার মাথায় দাঁড়িয়ে মৃতদেহ পোড়ানো আগুনের প্রহেলিকা গুলো মুখে ঢুকিয়ে নিচ্ছি পরিচ্ছদহীন কীর্তনীয়াদের বাদ্যযন্ত্রের মতো , মাথায় ঘুরতে থাকে একটি পিশাচের আলতা পরা তুরীয় পা
আমি জরার পুনর্জন্ম চিবোচ্ছি ,আমি মহাজগতের তৃতীয় অর্জুন, রক্তকরবীর রাগ সম্ভোগ আর ছায়ার কঙ্কাল মৃতদেহ মিশ্রিত একটা আগুনের স্রোত চিবোচ্ছি কাঠের শৈথিল্য দন্ডে নক্ষত্র চিহ্ন এঁকে ,আমি মহা কুণ্ডের ক্রুতু চিবোচ্ছি ,দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলি কমলালেবুর মতো বৈসাদৃশ্য এক একটি স্বর্গ উপসর্গ আর নিমিত্ত কারকের থ্রি এক্স ক্যান্থারাস চর্মরোগে ডোবানো বংকরাজ দেহ নিঃসৃত অ্যাসিড ফস অথচ সকলের গায়ে লোমশ মাছ ঝুলে ছিল কাল সাপের মতো নিষিদ্ধ অন্ধকার চুষে খাওয়ার মতো আসন পদ্ধতির রুপান্তর ,
যজ্ঞের চারপাশে আমি শুধু চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে হাইপোথ্যালামাসের নীল উপবৃত্ত ছিঁড়ে নক্ষত্রের রমন দৃশ্য দেখি , আমার দীর্ঘ উটের মত মুখ তুলে দেখেছি পৃথিবীর গুহার ভিতরে মা ছাড়া আদিম কোন উলঙ্গ নারী থাকতে পারে না , লাল নাশপাতি একটি বিষাক্ত ফলের লিটমাস সেক্স ট্রয় নগর , যাকে নিয়ে ছেঁড়া দরজা পাথর হয়ে গেছে লাল টমেটোর সান্ধ্যকালীন সরাই খানার উত্তপ্ত বীজপত্র ও অ্যাবাকাস নিয়ে
জীর্ণ হাড়ের ভেতরে এক এক মৌল খনিজ জমা করে রাখি সাপেদের মুখের ভেতরের কার্বক্সিমিথাইল অতি নিষিক্ত বীজপত্রের ভৌগলিক ধারাপাত সেরে , মৃত্যুর আগে সকলে শুক্রাণু ঘনত্বের যন্ত্রনা নিবারণের জন্য ডোলোনেক্স ডি টি খায়
শুধু ধূপের মৃত মহোৎসব গন্ধ জানে ৮৪ লক্ষ মৃত্যুর পর সব বৃত্তরেখার গণিক মানুষেরা লালা গ্রন্থি দিয়ে এ জন্মের সব জন্ম কাল মুছে দিয়ে যায় , গলার ভেতরে নীল ছবি, হাঁ করা গলার ভেতরে কিছু স্যালাইন ভর্তি নগ্ন ছত্রাক ঢেলে দেওয়ার পর আমাদের পায়ু সংক্রমণের নগ্নদৃশ্য দেখেছিল একটি অতিভৌগোলিক রেডিওলজিস্ট , গলার ভিতরে মৃতপ্রায় তিস্তা শুয়ে থাকে আঁশ খোলা পরমাত্মা অজগরের মতো