গুচ্ছ কবিতা।। সৈকত ঘোষ

১.

চশমা

খেলা নিভে যায়,
শপথ বাক্যের মতো দাগ থেকে জেগে ওঠে
দাম্পত্যের যাবতীয় ইথার
এ এক আনোখা সৌভাগ্য
অভিমানের শিকড় থেকে
বেজে ওঠে সমস্ত বোঝাপড়া
এ এক অন্বেষণ
চুপিচুপি শৃঙ্গারের যাবতীয় পোষাক
যতটা সহ্য করার
আর কষ্টার্জিত রতিবিভাজিকা
ঠায় বসে থাকা দেহ-মন জুড়ে
কে যেন দরজা খুলে দেয়
কুসুম, এক ম্যাজিক মনখারাপ
২.
আফ্রোদিতি
তোমাকে যাবতীয় সরলরেখার মাঝে
সরলবর্গীয় করেছে প্রেম
এ যেন এক মধুরেন আত্মনির্মাণ
শীতার্ত হরিণীর চোখে কে যেন
সোহাগ বিছিয়ে দিয়েছে
আজন্ম শ্রাবণ লিখেছে কাচের দেয়াল
এ মধুচন্দ্রিমায় কোনও গান নেই
তৃষ্ণার চূড়ান্ত সপ্তকে পৌঁছে
খসে পড়ে অনিঃশেষ
আসলে জীবন তোমাকে শিখিয়েছে
আজন্ম ভুলের নামতায় সফল এপিটাফ
৩.
সঙ্গম
ক্রমাগত ফাঁকি দিতে দিতে
মিলিয়ে যায় অপেক্ষার বিষন্ন কণ্ঠস্বর
তোমার চিবুক বেয়ে নেমে আসে মনখারাপ
তোমার চোখে একাকীত্বের টেরাকোটা
মাপা হাসি, চকচকে রোজনামচায়
এও কি আত্মহত্যা নয়!
তোমাকে জুড়ে রাখি
আলো আর অন্ধকারের সমস্ত ক্রিয়াপদ
নিজেকে দেখার বাহানায় তুমি
শূন্যস্থান পূরণ করো
দূরত্বের সঙ্গমে জোৎস্না গলে যায়
৪.
বিষ
এভাবে প্রেম ভেঙে গেছে,
নৈসর্গিক দেখা হওয়াগুলো
বিষ ছাড়া কিছুই রাখেনি অবশিষ্ট
এই যে উত্তাল হাই-রাইজ
এই যে শহর জোড়া হৃদয় ভাঙার খেলা
ইচ্ছের ফুলস্লিভ অন্ধকার
প্রতি একর যৌনতা চিনে রাখে
শূন্যের পংক্তিতে শূন্য
তার ভিতর শূন্যের ডালপালা
বিস্ময় এসে বসে পাশাপাশি,
চেনা কণ্ঠে আহত সিসিফাস
খেলনাবাটির পৃথিবীতে সে কবেই তো
গর্ভবতী হয়েছে
Image- Google, Pinterest
শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page