গুচ্ছ কবিতা।। শানু চৌধুরী
লল্লেশ্বরীরা
————
পৃথিবীর গায়ে, বিষণ্ণ রমণী
আগত মুখ থেকে বর্শা বিঁধে যাওয়ার ভার নিয়ে
ক্ষুধার্ত ও ঈর্ষাকাতর হয়ে আছে – টিলার ওপরে
কষ্ট থেকে দূরে- চিকিৎসার এক প্রার্থনা নিয়ে,
যেখানে ভিড় করে এসেছে সংহত মাংস
পৃথিবীর গায়ে, বিষণ্ণ রমণী
আগত মুখ থেকে তুলে নিয়েছে লোভী মানুষের সাক্ষাৎকার
ক্ষুধার্ত ও ঈর্ষাকাতর হয়ে আছে –মর্মান্তিক সেলাইয়ের ক্লিপে
তখন আলো এল, হুইলচেয়ারে, প্রসাধন গুঁড়ো হওয়ায়, ছড়ালো ফল-মূল
বনের ভিতর ভিজে দেশলাই কাঠি খুঁজে মনসাঙ্ক হয়, ব্রোঞ্জের উচ্ছিষ্ট
তাই তাপের প্রভাবে রহস্য হয়েছে খুব চামচিকের সাধ
তবু , রুপোলী জিনের ওপর পরীদের রানী
টাট্টু ঘোড়ার মতো স্বাস্থ্যহীন হয়ে পেরিয়েছে সাঁকো
নেভে আলো, ভার হয় কেরোসিনে ডোবানো শোভার যাত্রাগুলো
খেজুরের কাঁটায় বিঁধে যায় কপাটি ভাঙা ভেড়াদের দাঁত
পা থেকে গড়িয়ে পড়ে ভিতরের ফাঁদে পড়া ভালোবাসা
যাকে তৃণভূমি ভেবে চঞ্চল হয়েছিল লল্লেশ্বরীরা
সেই যারা
উৎসর্গ- তারাপদ রায়
সেই যারা
রক্তের পটুত্ব নিয়ে গেয়েছিল গান
স্বাভাবিক আলতার দাগে
সেই যারা
ভেঙ্গেছিল একই রকম চাঁদের ছবি
পূর্ণিমা আর পেতলের থালায়
সেই যারা
চিনতে পারেনি একেক জনের সাথে
দেখা হওয়ার অপরিসীম মাহাত্ম্য
সেই যারা
ধনুক নামিয়ে খুঁজেছিল বনে-বনে
ছোট ছোট পাখির দেহ
সেই যারা
হতাশ হয়েছিল দেখে
একের পর এক মানুষের হারিয়ে যাওয়া
হয়তো তাদের কারো কারো সাথে দেখা হবে
হয়তো হবে না…
হয়তো তারা পুরনো লেবুর পাতা ছিঁড়ে
জাগিয়ে রাখবে তারাপদ-র কবিতা