‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ কী এই রোগ, আক্রান্ত বরুণ ধাওয়ান
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- বরুন ধাওয়ান বলিউডের বাণিজ্যিক ছবির প্রথম সারির অভিনেতা। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘যুগ যুগ জিও’ সিনেমাটি। যা বক্স অফিসে বেশ সফল। খুশির খবরের মধ্যে ১৩৪ কোটি বানিজ্য করেছিল ছবিটি। তবে তার পরেই খারাপ খবর হলো এক জটিল রোগে আক্রান্ত অভিনেতা।
স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ছবির এই তারকা এক সাক্ষাৎকারে জানান ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ নামে একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
কী এই রোগ? এই প্রসঙ্গে বরুণ জানান, এই রোগের প্রভাবে তিনি হঠাৎই একেবারে স্তব্ধ হয়ে যান। কোভিড পরবর্তী সময়ে হঠাৎ সবাই ইঁদুর দৌড়ে ছুটতে শুরু করে দিয়েছে। সবার মতো আমিও তাই করেছিলাম। ‘যুগ যুগ জিয়ো’ ছবির প্রচারের সময় আমার শুধু মনে হচ্ছিল যেন, ভোটের প্রচারে বেরিয়েছি। কেবল ছুটেই চলেছি আমরা।’
এই রোগ আঘাত কিংবা স্নায়ুজনিত কারণে আবার সংক্রমিত অথবা জিনগত সমস্যা থেকেও হতে পারে। ভেস্টিবুলার সিস্টেমের যে কার্যকারিতা তা আংশিক বা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে এই হাইপোফাংশনের জেরে। হাড় ও তরুণাস্থি দিয়ে গঠিত কানের একটা অংশ তরল দ্বারা পূর্ণ। এই তরলের মাধ্যমেই কানে অবস্থিত স্নায়ু বার্তা পাঠায় মস্তিষ্কে। যার ফলে কানের অভ্যন্তরীণ অংশটি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে মস্তিষ্কে বার্তা পৌঁছয় না। ফলে চলাফেরার সময় ভারসাম্যের অভাব হয়।
ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন কিন্তু যথেষ্ট জটিল এক রোগ। যার জেরে দেখা যায় একাধিক সমস্যা যেমন মাথা ঘোরা, হাঁটা চলার সময় মাথা ঘোরা, শারীরিক ভারসাম্য না থাকা। এই রোগের ফলে গাড়ি চালাতে খুব অসুবিধা হয়। সমস্যা দেখা দিতে পারে কিছু পড়তে গেলে। স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। চলন্ত অবস্থায় কোনও স্থির লেখা পড়তেও সমস্যা হতে পারে।
‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ রোগটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। কোভিড পরবর্তী সময়ে জীবনের ইঁদুর দৌড়ে বরুণের মতো অনেকে এই সমস্যায় পড়েছেন। অভিনেতারা সব সময় লাইমলাইটে থাকেন বলে যে তাদের জীবনের সবটাই যে ঝাঁ চকচকে, সেরকমটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তাদেরও যে আর পাঁচজনের মতোই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে হয়।
বরুণকে খুব শিগগির দেখা যাবে অমর কৌশিক পরিচালিত ‘ভেড়িয়া’ ছবিতে। এই ছবিতে বরুণের সঙ্গে অভিনয় করছেন কৃতি শ্যানন ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে ‘বাওয়াল’ ছবিতেও দেখা যাবে বরুণকে।