নভেম্বর! দাড়ি না কামানোর মাস
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- আজ ১ নভেম্বর। গোটা মাস জুড়ে পালন করা হয় দাড়ি না কামানো। ছেলেরা বলেও ফেলেন ‘নো শেভিং’। কিন্তু কেন শুধু শুধু দাড়ি কামাবেন না? শুধু কি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করবেন বলে? অবশ্য সেটা করতেই পারেন।
কিন্তু এই হ্যাশট্যাগ এর শুরুটা হয়েছিল এভাবে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের চুল পড়ে যায় কেমোথেরাপির সময়। ক্যান্সার আক্রান্ত অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রের টাক মাথার ছবির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। এই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সম্মানেই নভেম্বর মাস দাড়িতে ক্ষুর কিংবা কাঁচি চালান না অনেকেই। এর পেছনে একমাসে যে অর্থ খরচ হয় তা দান করে দেন ক্যান্সার ফাউন্ডেশনগুলিতে। যাতে হতভাগ্য মানুষগুলোর চিকিৎসায় কিছুটা সাহায্য করা যায়। সেই সঙ্গে কিছুটা সচেতনতার প্রচারও হয়।
২০০৯ সালে চিকাগোর হিল পরিবার ফেসবুকে এই ক্যাম্পেন শুরু করেন। পরিবারের প্রধান মানুষটি কোলন ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন। তার থেকেই এই পরিকল্পনা। সেই ছোট্ট কর্মসূচি এখন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে গোটা দুনিয়ার প্রচুর মানুষ পালন করেন ‘নো শেভ নভেম্বর’। গত বছর এর মাধ্যমে উঠেছিল ১৩ কোটির টাকারও বেশি।
কিন্তু অনেকেই এই ‘নো-শেভ নভেম্বর’কে জনহিতকর কর্মসূচি হিসেবে না নিয়ে শুধু স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবে জাহির করে। দাড়ি একটু বড় করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ দিয়ে ছবি পোস্ট করা হয়। হয়তো তাঁরা এক পয়সাও দান করেনি। কারণ অনেকে জানেই না এই প্রথার মাহাত্ম্য।
#noshavenovember।